সুইফট থেকে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা , কি প্রভাব পড়ছে দেশের অর্থনীতিতে?

অমি রুম্মান | প্রকাশিত: ১৫ মার্চ ২০২২ ০৩:৫৩; আপডেট: ১৫ মার্চ ২০২২ ০৩:৫৪

রাজটাইমস ডেস্ক

গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সুইফট পেমেন্ট নেটওয়ার্ক থেকে রাশিয়ান শীর্ষ সাতটি ব্যাংক কে বাদ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশকে ঋণপ্রদান কারী রাশিয়ান এই শীর্ষ আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো কে সুইফট থেকে বাদ দেওয়ার কারনে বাংলাদেশ ব্যাংক লেনদেনের কার্যক্রম প্রক্রিয়া স্বাভাবিক করার জন্য বিকল্প মাধ্যম খুঁজে চলেছে।কেননা বাংলাদেশের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ অনেকগুলো প্রকল্পে কাজ করছে রাশিয়া। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী , ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে রাশিয়ায় রপ্তানি হয়েছে ৬৬ কোটি ৫৩ লাখ মার্কিন ডলারের পণ্য। যার ৮৫ শতাংশ তৈরি পোশাক। এ সময়ে রাশিয়া থেকে আমদানি করা হয়েছে ৬৪ কোটি ৬৭ লাখ ডলারের পণ্য।

বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে রাশিয়ান এই শীর্ষ ব্যাংক গুলিকে সুইফট থেকে বাদ দেওয়ার ফলে রাশিয়ার সাথে বার্ষিক ১ বিলিয়ন ডলারের ব্যাবসায়িক লেনদেন অনিশ্চয়তার মধ্যো পড়েছে যা উভয় দেশের আমদানি ও রফতানীর মূল্য পরিশোধের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।

এই প্রতিবন্ধকতার জন্য রুপপুর নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট এর কাজ সময়মত শেষ হবার ব্যাপারে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ১২.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের মেগা প্রজেক্টির সম্পুর্ন অর্থায়ন করছে রাশিয়া। এই যুদ্ধের প্রভাবে বাংলাদেশের সাথে রাশিয়ার দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থায়ীভাবে বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশংকা ব্যাক্ত করে অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন “আমাদের আমদানি কিংবা রপ্তানি কোনোটাই আর রাশিয়ার মাধ্যমে করা যাবেনা বিকল্প ব্যাবস্থা করতে না পারলে।

এছাড়াও রুপপুর প্রকল্প সম্পর্কে তিনি বলেন, “পারমাণবিক বিদুতকেন্দ্রেও আমার মনে হয় না যে রাশিয়ার পক্ষে ফান্ডিং করা সম্ভব হবে । তারাই তো ৯০ শতাংশ ফান্ডিং করছিল। রাশিয়া এই টাকা এখন কীভাবে দেবে? এই প্রতিবন্ধকতার জন্য প্রকল্পটি সময়মত শেষ হবার ব্যাপারেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন।এমতবস্থায় দেশের শীর্ষ ৪টী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের শীর্ষ ৩ কর্মকর্তারা বিকল্প হিসবে , চাইনিজ পেমেন্ট সিস্টেম “CIPS” (Cross Border Interbank Payment System) এর কথা ভাবছেন যদিও এই বিষয়ে এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি শুধুমাত্র পর্যবেক্ষন চলছে এবং প্রতিনিয়ত বিকল্প ব্যাবস্থার বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক ।

চায়না সেন্ট্রাল ব্যাংক ২০১৫ সালে CIPS লঞ্চ করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল বিশ্বব্যাপি চাইনা কারেন্সি ইয়ান এর ব্যাবহার প্রসারিত করা এবং মার্কিন ডলারের উপর সবার নির্ভরতা কমানো।

রাশিয়ার পক্ষ থেকেও কিছুদিন পূর্বে বাংলাদেশ কে সুইফট এর বিকল্প প্লাটফর্ম ব্যাবহারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তবে বাংলাদেশ এর জবাবে ভেবে দেখবে বলে জানিয়েছে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top