রাজশাহীতে টিউশনির টাকা আদায়ে ভোগান্তি: বিরুপ প্রতিক্রিয়া শিক্ষার্থীদের

সাকিব আল হাসান | প্রকাশিত: ২১ মার্চ ২০২১ ২২:৩৮; আপডেট: ২২ মার্চ ২০২১ ০২:০৭

ফাইল ছবি

শিক্ষা নগরী রাজশাহী। শিক্ষার সুনাম ও ঐতিহ্যের ধারক এই নগরী। এই নগরীতেই রয়েছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষা ব্যয়ের একমাত্র অবলম্বন টিউশনি।

কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে নগরীতে টিউশনি করতে গিয়ে অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সম্মুখীন হচ্ছে শিক্ষার্থীরা।

গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছাত্রী দ্বারস্থ হয় বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস উইং এর কাছে। তার অভিযোগ মতিহার থানা এলাকায় টিউশনির টাকা নিয়ে হয়রানি করছে এক অভিভাবক। পরবর্তীতে গত (২৮ ফেব্রুয়ারি) পুলিশ কর্মকর্তাদের সহায়তায় ওই ব্যক্তির কাছে টাকা আদায় করা হয়।

ঠিক একই তিক্ত অভিজ্ঞতার সম্মুখীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান সজীব। নগরীর বহরমপুরে টিউশনি করতে গিয়ে হয়রানির শিকার হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সহায়তা চান। এতে উল্টো ওই অভিভাবকের পক্ষ থেকে নানা হুমকির ও সম্মুখীন হয় সে। এতে বিভিন্ন জন এগিয়ে আসলে ও শেষ পর্যন্ত সুরাহা মেলেনি এখনো।

সজীব রাজটাইমসে জানান, এটি তার জীবনের এক তিক্ত অভিজ্ঞতা। সে মানসিক ভাবে হয়রানির হয়ে অনেক বিপর্যস্ত।

টিউশনির টাকা নিয়ে এই রকম সমস্যা নেহায়েত কম নয়। অনেকেই ভয়ে বিষয়টি প্রকাশ করে না, অনেকেই লোক-লজ্জার ভয়ে।

এদিকে, বেড়ে গেছে বিভিন্ন টিউশনি মিডিয়ার দৌরাত্ম্য। কিছু টিউশন মিডিয়া শিক্ষার্থীর উপকারে আসলেও অধিকাংশই তৈরী করেছে রীতিমতো সিন্ডিকেট ও টিউশন বাণিজ্য। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে টিউশনিমুখী শিক্ষার্থীদের।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী মুরাদ হোসেন রাজটাইমসকে বলেন, রাজশাহীতে প্রয়োজনের তুলনায় টিউশনি অপ্রতুল। যা পাওয়া যায় তাও আবার খুব কম ফি দেয়। রয়েছে টিউশনি মিডিয়ার দৌরাত্ম্যও। তার উপর এই ধরণের ঘটনা আমাদের ভাবিয়ে তুলছে।

শিক্ষার্থীদের নিয়ে কাজ করা সংগঠন স্টুডেন্ট রাইটস এসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি সারোয়ার সাব্বির রাজটাইমসকে বলেন, এটা অত্যন্ত মর্মপীড়াদায়ক বিষয়। একজন শিক্ষার্থী কষ্ট করে টিউশনি করবে আবার তাকে বেতন দেয়া হবে না উল্টো হয়রানি করা হবে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের এই ক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা (অতি:) প্রফেসর ড. লুৎফর রহমান রাজটাইমসকে বলেন, আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন শিক্ষার্থী এই ধরণের পরিস্থিতি সম্মুখীন হলে তাদেরকে বলব তারা যেন আমার সাথে যোগাযোগ করে৷ তাদের সর্বোচ্চ সহায়তা করা হবে।

রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র গোলাম রুহুল কুদ্দুস রাজটাইমসকে বলেন, আমি প্রথমত বলব শিক্ষার্থীদের ব্যক্তিগতভাবে সচেতন হতে। আমাদের কাছে অভিযোগ আসলে আমরা উভয়পক্ষ নিয়ে সমাধান করার চেষ্টা করি। শিক্ষার্থীরা এই ধরণের পরিস্থিতির সম্মুখীন হলে আমরা সর্বোচ্চ সমাধানের চেষ্টা করি।

  • এসএইচ

 

 

 

 



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top