ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক বাড়ছে চরম স্বাস্থ্যঝুঁকি

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০২১ ২০:১০; আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০২১ ২১:৩৫

ছবি: সংগৃহিত

চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়াই অ্যান্টিবায়োটিক সেবন চলছে চট্টগ্রামে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াই অনিয়মিত ও অনিয়ন্ত্রিতভাবে অনেকেই সেবন করে যাচ্ছে জীবনরক্ষাকারী

অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ। অথচ এ নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা, চিন্তা-চেতনা কিংবা সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা দেখা যাচ্ছে না। অ্যান্টিবায়োটিকের অকার্যকারিতা বর্তমান বিশ্বে ভয়ঙ্কর এক স্বাস্থ্য সমস্যা।

১৮ থেকে ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলছে ‘বিশ্ব অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ ২০২১’। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে ‘স্প্রেড অ্যাওয়ারনেস, স্টপ রেজিস্ট্যান্স’। অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স (অকার্যকারিতা) সহনীয় মাত্রায় আনার জন্য চিকিৎসকসহ সব পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারীদের সচেতনতা তৈরিতে চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি মেডিকেল কলেজসমূহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করে চলেছে। গতকাল সকাল সাড়ে ৯টায় চমেক মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয় সচেতনতামূলক শোভাযাত্রা। তাছাড়া আজ সোমবার চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ ও চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হবে প্রতিপাদ্য বিষয়ের ওপর বিশেষ সেমিনার। বর্তমানে চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় মোট অনুমোদিত ফার্মেসি আছে প্রায় ১২ হাজার। হাজারি গলিতেই আছে প্রায় ৭০০ ফার্মেসি। আছে অসংখ্য অনুমোদনহীন ফার্মেসি। কার্যত ফার্মেসিতেই বিক্রি হয় ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক।

চট্টগ্রাম ইন্টারন্যাশনাল ডেন্টাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ মুসলিম উদ্দিন সবুজ বলেন, ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ফার্মেসি থেকে অ্যান্টিবায়োটিক কিনে সেবন করা কোনো মতেই উচিত নয়। এটি নিয়মবহির্ভূত। পৃথিবীর কোনো দেশে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক তো নয়ই, সাধারণ ওষুধও কেনা যায় না। কিন্তু এখন মাত্রাতিরিক্ত অ্যান্টিবায়েটিক ব্যবহারে ক্রমেই এর কার্যকারিতা হারাচ্ছে। চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের কনসালট্যান্ট (মেডিসিন) ডা. এইচ এম হামিদুল্লাহ মেহেদী বলেন, চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া যাচ্ছেতাই অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার বাড়ছে। এটি এখন পুরো বিশ্বে বড় একটি জনস্বাস্থ্য সমস্যা। এরই মধ্যে অনেক অ্যান্টিবায়োটিক জীবাণু প্রতিরোধে অকার্যকর হয়ে পড়ছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, চিকিৎসক ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা ঠিক নয়। এটির মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহার ক্ষতিকর। যদি ভাইরাসজনিত রোগে অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হয়, তবে বিপজ্জনক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। এ ধরনের চিকিৎসা চলতে থাকলে একটা সময় আসবে যখন ব্যাকটেরিয়াকে মারা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।



বিষয়: ঔষুধ


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top