ঢাকায় আসছেন রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ নভেম্বর ২০২২ ২১:১১; আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৭:৫৩

রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ

ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর জোট ইন্ডিয়ান ওশান রিম এসোসিয়েশনের (আইওআরএ) মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে অংশ নিতে বাংলাদেশে আসছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ। খবর মানবজমিনের।

ঢাকাস্থ রাশিয়ান দূতাবাস নোট ভারবালের মাধ্যমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ল্যাভরভের প্রস্তাবিত সফরটি নিশ্চিত করে।

মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা মানবজমিনকে বলেন, আগামী ২৩শে নভেম্বর দু'দিনের সফরে আসছেন তিনি। সম্মেলনে অংশ নেয়ার পাশাপাশি সফরকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হবে তার।

তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন যুদ্ধবন্ধু রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বাংলাদেশের ৫০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ঢাকা আসছেন রাশিয়ার কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তাই তার সফরটি নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ।

উল্লেখ্য, গত মাসে কাজাখস্তানের রাজধানী আস্তানায় অনুষ্ঠিত সিআইসিএ শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সর্বশেষ বৈঠক হয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের। সেখানেও ল্যাভরভকে ঢাকা সফরের মৌখিক আমন্ত্রণ জানান মোমেন। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ ও আস্থা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত সিআইসিএ সম্মেলনের ফাঁকে ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠকে মোমেন রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে আন্তর্জাতিক মহলের জোরালো সমর্থনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। ইউক্রেনের সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে অবতীর্ণ রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের প্রস্তাবিত সফর নিয়ে অনেকদিন ধরে কূটনৈতিক অঙ্গনে জল্পনা-কল্পনা চলছে। এ নিয়ে অন্তহীন কৌতুহল বিরাজমান।

বিজ্ঞাপন
যদিও তখনো সফরটির কনফার্মেশন ছিল না। তখন আলোচনা ছিল বাংলাদেশের আমন্ত্রণ কবুল করলেও যুদ্ধের মধ্যে তিনি আদতে সফর করবেন কি-না? মস্কোর বাংলাদেশ মিশনও সফরটির বিষয়ে এতোদিন ছিল অন্ধকারে। কিন্তু আজ সফরটি নিশ্চিত হওয়ার পর মিশনের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা বলছেন, যুদ্ধের মধ্যেই ল্যাভরভের ঢাকা সফরের সিদ্ধান্ত নানা কারণে তাৎপর্যপূর্ণ। এই সফরে বন্ধুত্বের বিশেষ বার্তা দিতে চান তিনি। আর এটার মধ্য দিয়ে একাত্তরের দুর্দিনে বাংলাদেশের পাশে থাকার বিষয়টি স্মরণ করে প্রতিদান চাইতে পারেন ল্যাভরভ।
পেশাদাররা বলছেন, ইউক্রেনের সঙ্গে যুদ্ধের কারণে বন্ধু সংখ্যা প্রতিনিয়ত কমছে রাশিয়ার। পাশ্চিমারা প্রত্যক্ষ যুদ্ধে না জড়ালেও নানাভাবে চেপে ধরেছে মস্কোকে। এ অবস্থায় বিশ্বজুড়ে বন্ধু খুঁজে বেড়াচ্ছে দেশটি। আন্তর্জাতিক যেকোনো অনুষ্ঠানে নিজেদের উপস্থিতি জানান দিতে প্রতিনিধি হাজির রাখছে মস্কো। ইন্ডিয়ান ওশান রিম এসোসিয়েশনকে (আইওআরএ) একটি বড় রিজিওনাল প্ল্যাটফরম উল্লেখ করে সেগুনবাগিচার এক কর্মকর্তা বলেন, আইওআরএ'র সদস্য না হলেও ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে রাশিয়ার যথেষ্ট কদর রয়েছে।

তাছাড়া চেয়ার হিসেবে বাংলাদেশ যথাযথ মর্যাদায় তাদের আমন্ত্রণ জানিয়েছে। গত সপ্তাহে পররাষ্ট্র মন্ত্রী মোমেন মানবজমিনকে বলেন, রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী ঢাকায় এলে আমরা গুরুত্বের সঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করবো। রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধানে সব সময় রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা হয় বলে জানান মন্ত্রী মোমেন। ১৯৯৭ সালে গঠিত হওয়া আইওআরএ’র সদস্য রাষ্ট্রের সংখ্যা ২৩। আর এর ডায়ালগ পার্টনার হিসেবে রয়েছে ১০টি দেশ। ২০২১ সালের ১৭ই নভেম্বর দুই বছরের জন্য সংগঠনের সভাপতি হয় বাংলাদেশ। ওই বছরই জোটটির ডায়ালগ পার্টনার হয় রাশিয়া।

মানবজমিনের প্রতিবেদনের লিঙ্ক



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top