৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তৃণমূলের কমিটি গঠনের নির্দেশ বিএনপির

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ১৩ অক্টোবর ২০২১ ১৩:৩১; আপডেট: ২৯ মার্চ ২০২৪ ১৩:২৯

ফাইল ছবি

আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে তৃণমূলের সব কমিটি দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বিএনপি হাইকমান্ড। মেয়াদোত্তীর্ণ জেলা, থানা, পৌরসহ সব পর্যায়ে কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি দিতে হবে। এসব কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী 'এক নেতা এক পদ' কার্যকরেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) দলের সাংগঠনিক ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে এক রুদ্ধদ্বার বৈঠকে এই নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলটির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই বৈঠক হয়।

এছাড়াও বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় সংশ্লিষ্ট বিভাগের সাংগঠনিক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদকরা আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে সব জেলা সফর করবেন। জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠক করে সব ইউনিটের কমিটি গঠনের তারিখ নির্ধারণ করা হবে। এছাড়া কমিটি গঠনের জন্য একটি 'ওয়ার্কশিট' তৈরি করতে বলেছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। যেখানে কমিটি গঠনের সব কর্মকাণ্ডের বিস্তারিত বর্ণনা থাকবে। ২০ অক্টোবরের মধ্যে এই 'ওয়ার্কশিট' হাইকমান্ডের কাছে জমা দিতে হবে। ইউনিট কমিটি তদারকির জন্য জেলা নেতাদের সমন্বয়ে একটি মনিটরিং সেল গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সন্ধ্যা ৬টা থেকে আড়াই ঘণ্টাব্যাপী বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত ছিলেন।
বিএনপির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, বৈঠকে সারা দেশের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ সাংগঠনিক জেলা, থানা, উপজেলা, পৌরসহ সব পর্যায়ের কমিটি ভেঙে নতুন নেতৃত্ব গঠনের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। এসব কমিটি কাউন্সিলের মাধ্যমে করতে হবে। যাতে যোগ্য ও পরীক্ষিত নেতারা নেতৃত্ব পান।

বিএনপির একজন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জানান, ময়মনসিংহ বিভাগের তৃণমূলের কমিটি গঠনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু করা হয়েছে। এজন্য এই বিভাগের সব পর্যায়ের কমিটি ৩০ নভেম্বরের মধ্যে শেষ করতে বলেছেন। আর বাকি বিভাগের কমিটি ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে দিতে হবে।

সূত্র জানায়, বৈঠকে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের এক দফা দাবিতে আন্দোলন করার বিষয়ে মত দেন সাংগঠনিক ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদকরা। এজন্য তৃণমূলের কমিটি গঠনের কাজ ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ করার ব্যাপারে অঙ্গীকার করেন তারা। নেতারা বলেন, তৃণমূলকে শক্তিশালী করে আন্দোলনের করতে পারলে তা সফল হবেই।

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন-সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, অ্যাডভোকেট রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, মাহাবুবুর রহমান শামীম, বিলকিস জাহান শিরিন, সৈয়দ ইমরান সালেহ প্রিন্স, শ্যামা ওবায়েদ, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ,অনিন্দ্র ইসলাম অমিত, আকন কুদ্দুসুর রহমান, মাহবুবুল হক নান্নু, আব্দুল খালেক, কলিম উদ্দিন মিলন, শরীফুল আলম, ওয়ারেস আলী মামুন, খন্দকার মাসুকুর রহমান, সেলিমুজ্জামান সেলিম প্রমুখ।

এর আগে, বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব দুই দফায় গত ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর এবং ২১ থেকে ২৩ সেপ্টেম্বর দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করেন। মোট ছয় দিনের ওই বৈঠকে বিএনপিকে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার পরামর্শ দেন নেতারা। একই সঙ্গে নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করতে মত দেন। ওই বৈঠকের ধারাবাহিকতায় গত শুক্র ও শনিবারও পেশাজীবীদের সঙ্গে আলোচনায় বসে দলটি। দুইদিনে ৩২টি পেশাজীবী সংগঠনের নেতারা ওই বৈঠকে অংশ নেন।



বিষয়: বিএনপি


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top