1108

05/05/2024 ভয়াবহ সংঘর্ষে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান

ভয়াবহ সংঘর্ষে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:০৩

ক্রমেই ভয়াবহ হচ্ছে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান সংঘর্ষ। প্রতিবেশী দেশ দুটির সংঘর্ষে অব্যাহত গোলাগুলিতে সর্বশেষ প্রাণ হারিয়েছে ৯৫ জন সেনাসদস্য। খবর রয়টার্স, বিবিসি ও ডয়েচে ভেলে।

রোববার (২৭ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া সংঘাত এখনো অব্যাহত রয়েছে। অব্যাহত সংঘর্ষে ১১ জন বেসামরিক লোকও প্রাণ হারিয়েছে।

মূলত নাগোরনো-কারাবাখ নামক বিতর্কিত অঞ্চলকে ঘিরে শুরু দেশ দুটির সংঘাত।

সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত উভয়পক্ষের ভারী গোলাবর্ষণ চলছিল। সংঘর্ষে দুই শতাধিক সেনা আহত হয়েছেন।

এর আগে ২০১৬ সালে সংঘাতে জড়ায় দেশ দুটি।

অঞ্চলটির কর্তৃপক্ষ জানায়, সোমবারের গোলাবর্ষণে তাদের ৫৩ সেনা নিহত হয়েছেন। এর আগের দিন রোববার ৩১ কর্মকর্তা নিহত হন ও ২০০ জন আহত হন। তবে রোববার হারানো কিছু এলাকা সোমবার পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়। ২০১৬ সালের পর থেকে দেশ দুটির মধ্যে এটিই সবচেয়ে তীব্র লড়াইয়ের ঘটনা।

অঞ্চলটি রক্ষায় ‘জীবন-মরণ যুদ্ধের’ ঘোষণা দিয়েছেন অঞ্চলটির নেতা আরায়িক হারুতিউন্যান।

এদিকে উভয়পক্ষের যুদ্ধ দীর্ঘস্থায়িত্ব লাভ করলে বিরুপ প্রভাব পড়তে পারে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে। প্রতিবেশী শক্তিশালী দুই রাষ্ট্র রাশিয়া ও তুরস্ক মুখোমুখি অবস্থানে চলে আসতে পারে। আর্মেনিয়ার সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সামরিক সখ্যতা রয়েছে রাশিয়ার। অন্যদিকে আজারবাইজানে তুর্কি জাতিসত্তার লোকজন থাকায় আঙ্কারার সমর্থন পাচ্ছে আজারবাইজান।

তবে এই সংঘাতের শান্তিপূর্ন সমাধান চায় চীন।

অন্যদিকে, শান্তিপূর্ন সমাধানের পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস এবং মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও।

প্রসঙ্গত, ১৯৮০’র দশকের শেষ দিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ প্রাণ হারায়। কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভেতরে হলেও আর্মেনিয়ার সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছেন আর্মেনীয় বংশোদ্ভূতরা। খবর-যুগান্তর

  • এসএইচ

 

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]