11396

04/30/2024 দলিতদের একঘরে করলেন ‘উচ্চবর্ণীয়’রা

দলিতদের একঘরে করলেন ‘উচ্চবর্ণীয়’রা

ডেস্ক নিউজ

১৬ অক্টোবর ২০২২ ০৪:২২

হোটেলে তাঁদের চা বা অন্য খাবার পরিবেশনেও রাজি নয় উচ্চ শ্রেণির লোকজন। পুলিশ এবং প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন দলিতেরা। তাতেও সুরাহা হয়নি। কর্নাটকের রায়চূড় জেলার তিড়িগোল গ্রামের ঘটনা।

ভুল করে মন্দিরের রথের চাকা ছুঁয়ে ফেলেছিলেন এক দলিত যুবক। এটুকুই ছিল ‘অপরাধ’। সে কারণে গ্রামের সব দলিত পরিবারকে একঘরে করে দেওয়া হল। দোকানে দলিতদের জিনিস বিক্রি করা বন্ধ করা হল। হোটেলে তাঁদের চা বা অন্য খাবার পরিবেশনেও রাজি নয় উচ্চ শ্রেণির লোকজন। পুলিশ এবং প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন দলিতেরা। তাতেও সুরাহা হয়নি। কর্নাটকের রায়চূড় জেলার সিন্দানুর তালুকের তিড়িগোল গ্রামের ঘটনা।

তিড়িগোল গ্রামে প্রায় একশো দলিত পরিবারের বাস। আচমকা এই সামাজিক বয়কটের কারণে বিপাকে তাঁরা। প্রসঙ্গত, এ দেশে রাষ্ট্রপতি এক দলিত। তাঁকে সামনে রেখে শাসকদল বিজেপির প্রচার নেহাত কম ছিল না। তার পরেও বিজেপি শাসিত কর্নাটকের এক গ্রামে একঘরে করা হল দলিতদের।

৩০ সেপ্টেম্বর স্থানীয় হনুমান মন্দিরের রথযাত্রা উৎসব ছিল। সেখানেই ভুল করে রথের চাকা ছুঁয়ে ফেলেন এক যুবক। তা নিয়ে বচসা শুরু হয়। দলিতদের উপর চড়াও হন উচ্চ শ্রেণির লোকজন। অভিযোগ, কয়েক জন দলিতকে মন্দিরে প্রবেশের জন্য মারধরও করা হয়। এর পরেই দলিতদের ক্ষেতে কাজ করতে বাধা দেওয়া হয়। দোকানে জিনিস বিক্রি বন্ধ করা হয়। ‘‘রথের চাকা ছুঁয়েছিস কেন?’’— এই প্রশ্ন তুলে সামাজিক ‘বয়কট’ করা হয় তাঁদের।

সমস্যা সমাধানের জন্য পুলিশ এবং প্রশাসনের দ্বারস্থ হন দলিত যুবকরা। দুই পক্ষকে নিয়েই বৈঠকে বসে পুলিশ। কিন্তু সমাধান হয়নি। সিন্দানুরের তহশীলদার অরুণ এইচ দেশাই সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, উচ্চ শ্রেণির নেতারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এই ধরনের সমস্যা ভবিষ্যতে আর হবে না। দলিতরা আর বাধার মুখে পড়বেন না। কিন্তু তার পরেও দলিতরা অভিযোগ করেছেন, গ্রামে এখনও সামাজিক বয়কট করা হচ্ছে তাঁদের।

সিন্দানুরের ডেপুটি পুলিশ সুপার ভেঙ্কটাপ্পা নায়েক জানিয়েছেন, গ্রামে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গত ১৫ দিন ধরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁর আশা, শিঘ্রই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।

সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।১৫ অক্টোবর ২০২২ ।।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]