11612

05/03/2024 প্রাকৃতিক দুর্যোগে মুমিনের করণীয়

প্রাকৃতিক দুর্যোগে মুমিনের করণীয়

রাজটাইমস ডেস্ক: 

২৬ অক্টোবর ২০২২ ২১:২২

আল্লাহ তাআলা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ, যেমন ভূমিকম্প, ঘূর্ণিঝড়, সূর্যগ্রহণ, চন্দ্রগ্রহণ ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষকে পরীক্ষা করেন। এ সময় বিচলিত না হয়ে ধৈর্য ধরা এবং আল্লাহকে স্মরণ করা মুমিনের কর্তব্য। মহানবী (সা.) বলেন, ‘এমন সময়ে তোমরা আল্লাহর জিকির করো এবং তাঁর কাছে তওবা করো।’ (বুখারি)

ঘূর্ণিঝড়, জলোচ্ছ্বাসসহ বিভিন্ন দুর্যোগে নিরাপদ ব্যবস্থা গ্রহণের পরেও আল্লাহর কাছে দোয়া করা সুন্নত। এ সময় মহানবী (সা.) পড়তেন, ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে এ ঘূর্ণিঝড়ের কল্যাণ, এর মধ্যকার কল্যাণ এবং এর সঙ্গে পাঠানো বিষয়ের কল্যাণ চাই। আর ঘূর্ণিঝড়ের অনিষ্ট, এর মধ্যকার অনিষ্ট এবং এর সঙ্গে পাঠানো বিষয়ের অনিষ্ট থেকে আপনার কাছে আশ্রয় চাই।’ (বুখারি)

হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, প্রবল বৃষ্টিপাতের সময় মহানবী (সা.) বলতেন, ‘হে আল্লাহ, আমাদের আশপাশে বৃষ্টি দিন, আমাদের ওপরে নয়। হে আল্লাহ, পাহাড়-টিলা, খাল-নালা এবং উদ্ভিদ গজানোর স্থানে বৃষ্টি দিন।’ এরপর যখন বৃষ্টি হতো তখন তিনি শান্ত হতেন। (বুখারি) হজরত আবদুল্লাহ ইবনে জুবাইর (রা.) বলেন, ‘যখন মহানবী (সা.) বজ্রপাত ও মেঘের গর্জন শুনতেন, তখন তিনি কথা বলা বন্ধ করে দিতেন এবং সুরা রাদ-এর ১৩ নম্বর আয়াতের এ অংশটুকু তিলাওয়াত করতেন ‘ইউসাব্বিহুর রাদু বিহামদিহি ওয়াল মালাইকাতু মিন খিফাতিহ’ অর্থাৎ, আর বজ্র তাঁর প্রশংসায় তাসবিহ পড়ে এবং ফেরেশতারাও তার ভয়ে পবিত্রতা বর্ণনা করে।

আব্দুল্লাহ ইবন ওমর (রা.) বর্ণনা করেন, মহানবী (সা.) বিদ্যুতের চমক দেখলে পড়তেন, ‘হে আল্লাহ, তোমার ক্রোধের কারণে আমাদের মেরে ফেলো না, আর তোমার আজাব দিয়ে আমাদের ধ্বংস করো না। বরং এর আগেই আমাদের ক্ষমা করো।’ (তিরমিজি)

লেখক: অধ্যাপক ড. এ এন এম মাসউদুর রহমান ‍, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]