05/03/2025 রাবিতে সপ্তাহে ৫টি সাইকেল চুরি, নিরাপত্তায় প্রশাসন ব্যর্থ
রাবি প্রতিনিধি
১৩ নভেম্বর ২০২২ ০৩:৫১
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ক্লাস চলাকালীন একাডেমিক ভবনগুলো থেকে সহসায় সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিস থেকে জানা যায়, চলতি মাসেই পাঁচটি সাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে তিনটি এবং ক্যাম্পাসের বাহিরে দুটি চুরির ঘটনা ঘটেছে। তবে এরকম ঘটনার সংখ্যা আরো বেশি হবে বলে জানান ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো চোরকেই ধরতে সক্ষম হয়নি রাবি প্রশাসন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ক্লাস করার সময় যে চারজনের সাইকেল চুরি হয়েছে তারা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের অনিল চাকমা, আরবী বিভাগের নূর আলম নেহাল ও ইয়াসির আরাফাত সিফাত এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের আসমাউল ইসলাম ।
ভুক্তভোগীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. এম ওয়াজেদ মিয়া অ্যাকাডেমিক ভবন, ড. মমতাজ উদ্দিন অ্যাকাডেমিক ভবন, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ্ অ্যাকাডেমিক ভবন এবং রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অ্যাকাডেমিক ভবন থেকেই বেশি চুরির ঘটনা ঘটছে। চুরির ঘটনাগুলো আনুমানিক সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে হয়েছে। যখন শিক্ষার্থীরা ক্লাসে থাকেন। সিসি ক্যামেরায় দেখা যায়, চুরির ঘটনায় জড়িত একটি চক্র সাধারণ শিক্ষার্থীর মতোই কাঁধে ব্যাগ নিয়ে একাডেমিক ভবনগুলোতে গিয়ে বিশেষ প্রক্রিয়ায় তালা খুলে সাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অনিল চাকমা জানান, গত কয়েক দিনে প্রায় প্রতিদিনই সাইকেল চুরি হয়েছে। আমার সাইকেল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টায় চুরি হয়েছিল। আমি তখন ক্লাসে ছিলাম। ঠিক আরা যখন ক্লাসে থাকবো তখনই চোর চক্রটি সাইকেল চুরি করে। এতে আমাদের বন্ধুদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের অ্যাকাডেমিক ভবনগুলোতে নিরাপত্তা কর্মী ও সিসিটিভি আছে। কিন্তু, প্রশাসন তাদের ধরতে বা চুরি বন্ধ করতে পারছে না। অন্যদিকে যদি প্রশাসনের গ্যারেজের সংখ্যা বৃদ্ধি ও ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করে তাহলে এরকম ঘটনার ভুক্তভোগীদের জন্য উপকার হয়। কারণ আমার মতো অন্যরাও বৃত্তির টাকা বা ঋণ করে সাইকেল কিনেন। আর এত নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকাতেও সাইকেল চুরি হয়।
ভুক্তভোগী আরেক শিক্ষার্থী আসমাউল ইসলাম আলম বলেন, আমার সাইকেল চুরি হওয়ার ঘটনা অনেক দিন হয়েগেছে। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে অভিযোগ করেও কোনো সুবিধা পাচ্ছি না। তাই সাইকেল ফিরে পাবো কিনা কে জানে। এ বিষয়ে প্রশাসনের সজাগ দৃষ্টি দেওয়া উচিত।
তিনি আরো বলেন, ঘটনা সকাল ৯টা থেকে ১০টায় ঘটে। এরপর যখন দেখি সাইকেল নেই। এরপর প্রক্টর অফিসে অভিযোগ দেওয়া এবং সিসিটিভি ফুটেজের দায়িত্বে যিনি আছেন তিনি অনুপস্থিত থাকার জন্য চোরকে শনাক্ত করা যায়নি। যদি অফিসিয়ালি জটিলতাগুলো কমানো যেত, তবে চোরকে শনাক্ত করা সহজ হতো।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক বলেন, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোরকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি। সাইকেলগুলো মূলত অ্যাকাডেমিক ভবনগুলো থেকে চুরি হয়েছে। যেহেতু চোর একজন সাধারণ শিক্ষার্থী সেজে চুরি করতে আসে তাই তাদেরকে শনাক্ত করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তবে এরই মধ্যে দুটি সাইকেল গ্যারেজের টেন্ডার পাস হয়েছে। যতদ্রুত সম্ভব কাজ শুরু করা হবে।