12666

05/15/2025 সাগরে ১৮০ জন রোহিঙ্গা মৃত্যুর আশঙ্কা: ইউএনএইচসিআর

সাগরে ১৮০ জন রোহিঙ্গা মৃত্যুর আশঙ্কা: ইউএনএইচসিআর

রাজটাইমস ডেস্ক

২৭ ডিসেম্বর ২০২২ ০৩:২১

আন্দামান সাগরে টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে ভেসে থাকার পর রোহিঙ্গাদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নভেম্বরে ওই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ ছেড়েছিলেন বলে জানা যায়।

ওই নৌকাতে কমপক্ষে ১৮০ জন রোহিঙ্গা ছিল। তাদের সবার মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করছে জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর।

জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক সংস্থা (ইউএনএইচসিআর) এর বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত নভেম্বর মাসে বাংলাদেশ ছেড়ে যাওয়ার পর রোহিঙ্গাদের দুর্বল ওই নৌকাটি টানা কয়েক সপ্তাহ ধরে সমুদ্রে আটকা পড়ে ছিলো। কমপক্ষে ১৮০ জন রোহিঙ্গাকে বহনকারী নৌকাটি চলতি মাসেই ডুবে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

গত সপ্তাহে, মিয়ানমারের দুইটি রোহিঙ্গা অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ বলেছে, ভারতের উপকূলে দুই সপ্তাহ ধরে সমুদ্রে আটকে থাকা একটি নৌকায় ক্ষুধা বা তৃষ্ণায় ২০ জন মানুষ মারা গেছে। কমপক্ষে ১০০ জন লোক নিয়ে নৌকাটি মালয়েশিয়ার জলসীমায় ছিল বলে জানা গেছে।

শনিবার টুইটারে দেওয়া এক বার্তায় জাতিসংঘের শরণার্থীবিষয়ক এই সংস্থা লিখেছে, ‘(রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের) আত্মীয়-স্বজনরা যোগাযোগ হারিয়েছেন, যাদের সঙ্গে শেষ পর্যন্ত যোগাযোগ রাখা হয়েছিল তারাও সবাই মারা গেছে বলে মনে করা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে ২০১৭ সালে মারাত্মক দমনপীড়নের শিকার হয়ে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে ১০ লাখেরও বেশি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ রোহিঙ্গা শরণার্থী বাংলাদেশে জনাকীর্ণ শিবিরে বসবাস করছে।

মানবিক কারণে তাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিলেও বাংলাদেশে তাদের কাজের সুযোগ নেই বললেই চলে। আর তাই পাচারকারীরা প্রায়ই মালয়েশিয়ার মতো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে কাজের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সাগরে বিপজ্জনক যাত্রা করার জন্য রোহিঙ্গাদের প্রলুব্ধ করে।

রয়টার্স বলছে, তৃষ্ণা, ক্ষুধা ও রোগের ভয় নিয়ে উদ্বেগ এবং খাদ্য, চাকরি ও আশ্রয়ের আশায় রোহিঙ্গা শরণার্থীরা প্রায়ই এশিয়ার অন্য কোনও দেশে পৌঁছাতে বাংলাদেশ ছেড়ে বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রা করে।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]