05/11/2025 বর্তমানে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিতে কর্মরত নেই
রাজ টাইমস ডেস্ক :
৫ জুলাই ২০২৩ ০২:৫৯
কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা বর্তমানে সরকারি চাকরিতে কর্মরত নেই বলে জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘মন্ত্রণালয়ের পরিপত্র অনুযায়ী, বীর মুক্তিযোদ্ধার সর্বশেষ জন্ম তারিখ ৩০ মে, ১৯৫৯।
সে অনুযায়ী, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধার বিধি মোতাবেক চাকরিকাল ছিল ৩০ মে, ২০১৯ পর্যন্ত। বর্তমানে কোনো বীর মুক্তিযোদ্ধা সরকারি চাকরিতে বিধি অনুযায়ী কর্মরত নেই।’
মঙ্গলবার (৪ জুলাই) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে ঢাকা-১১ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহর প্রশ্নের জবাবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২০১৮ সালের ১৭ জানুয়ারি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স সংক্রান্ত পরিপত্র জারি করে বলে জানান আ ক ম মোজাম্মেল হক। তিনি বলেন, ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা সম্মানী ভাতা বিতরণ আদেশ, ২০২০’-এর নির্দেশনা অনুসরণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা পরিচালনা করা হয়ে থাকে। ওই আদেশে এবং মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে সমন্বিত তালিকাভুক্ত এমএএস ধারী বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা প্রদান করা হয়। চাকরিরত বা চাকরিরত নয়—এমন সব বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জীবিতকাল পর্যন্ত এবং মৃত্যুর পর ওয়ারিশরা, স্ত্রী ও সন্তানরা ভাতা প্রাপ্য হন।’
উন্নতমানের যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা : লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে সংসদের কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকল্পে এবং ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে ৮ স্কোয়াড্রন যুদ্ধবিমান রয়েছে। ভবিষ্যতে বিমান বাহিনীকে যুগোপযোগী ও আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ফোর্সেস গোল ২০৩০-এর আলোকে আরও উন্নত প্রযুক্তির যুদ্ধবিমান কেনার পরিকল্পনা সরকারের রয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষাকল্পে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে বর্তমানে দুটি সাবমেরিনসহ ছোট-বড় ৬৫টির বেশি যুদ্ধজাহাজ এবং দুটি হেলিকপ্টার ও চারটি মেরিটাইম এয়ারক্রাফট রয়েছে।’ আনিসুল হক বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে বাজেট বরাদ্দের ওপর ভিত্তি করে পর্যায়ক্রমে ফ্রিগেট, করভেট, অফসোর পেট্রল ভেসেল (ওপিভি), মাইন কাউন্টার মেজার ভেজেল (এমসিএমভি), লার্জ পেট্রল ক্রাফট (এলপিসি), ওসান টাগ, হারবার টাগ, ওয়েল ট্যাংকার, লজিস্টিক শিপ, ফ্লোটিং ক্রেন, হাইড্রোগ্রাফিক সার্ভে ভেসেল ও হোভার ক্রাফট সংযুক্তির পরিকল্পনা রয়েছে।’