17932

05/20/2024 রাজশাহীতে শীতের প্রভাব লেপ-তোষক তৈরিতে বেড়েছে ব্যস্ততা

রাজশাহীতে শীতের প্রভাব লেপ-তোষক তৈরিতে বেড়েছে ব্যস্ততা

রাজটাইমস ডেস্ক:

১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৩৩

অগ্রহায়ণের শেষের দিকে রাজশাহীতে শীতের প্রভাব পড়ছে। কমে আসছে তাপমাত্রা। বেলা গড়ালেও দেখা মিলছে না রোদের। ফলে শীতের পোশাক কিনতে ফুটপাতে ভীড় জমাচ্ছেন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। এছাড়া লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ততা বেড়েছে কারিগরদের। তুলা ব্যবসায়ীদের ব্যবসা চলছে জমজমাট।

জানা গেছে, গত বুধবার রাজশাহীতে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এদিন এ জেলার তাপমাত্রা নেমে আসে ১২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। আর সর্বোচ্চ ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় গত ৪ ডিসেম্বর। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রায় ৫-৬ দিন বয়ে যায় মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তবে এ বছর এখনো শৈত্যপ্রবাহ শুরু না হলেও বেড়েছে শীতের তীব্রতা।

যে কারণে শীতের পোশাক কিনতে নগরীর বিপনী বিতান ও ফুটপাতে ভীড় জমাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। যদিও নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে ফুটপাতে সমাগম করছেন মধ্যবিত্তরা।

বুধবার সরজমিনে ঘুরে দেখা যায়, নগরীর সাহেব বাজার জিরো পয়েন্ট, সোনাদিঘির মোড়, গণকপাড়া, রানিবাজার, নিউ মার্কেট, কোর্ট বাজার ও ভদ্রা মোড়ে ফুটপাতে কম্বল, চাদর, জ্যাকেট ও টুপি-মাফলার নিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রেতারা। দুপুরেও ক্রেতাদের উপস্থিতি ছিল উল্লেখযোগ্য। বিকেলে ক্রেতাসমাগম আরও বৃদ্ধি পায়। তাদের বেশিরভাগই মধ্যবিত্ত ও নিম্ববিত্ত। ক্রেতারা বলছেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বৃদ্ধির ফলে তারা উন্নতমানের শীতের পোশাক কিনতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে কিনতে এসেছেন ফুটপাতে। সোনাদিঘির মোড়ে সন্তানের জন্য জামা ও টুপি কিনতে আসেন মোছা. অনু বেগম। তার নিজেরই একটি বুটিক শপ রয়েছে। তিনি জানান, সবকিছুর দাম নাগালের বাইরে। সন্তানকে বাসায় রেখে বাজারে এসে বাধ্য হয়ে ফুটপাতের দোকান থেকে পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

রাজশাহীতে লেপ-তোষকের প্রধান বিক্রয় কেন্দ্র গণকপাড়া মোড়। বুধবার ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কারিগররা বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন। তারা সাদা, চায়না, গোলাপি, শিমুলসহ বিভিন্ন তুলা দিয়ে লেপ তৈরি করছেন। আর কালো রাবিস, কালো হুল, উইল তুলা দিয়ে তৈরি করছেন জাজিম। তারা বলছেন, আগের তুলনায় লেপ-তোষক তৈরির উপকরণসহ পরিবহণ খরচ বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় তাদের মজুরি বাড়েনি। চাহিদা অনুযায়ী প্রতিটি লেপ-তোষক তৈরিতে ২০০-২৫০ টাকা পারিশ্রমিক দেওয়া হয় তাদের। দ্রব্যমূলের ঊর্ধ্বগতির বাজারে এ পারিশ্রমিকে তাদের সংসার টানাপোড়েনে পড়েছে বলে দাবি করেছেন কারিগররা।

অন্য বছরের তুলনায় অনেক কম ক্রেতা আসছেন বলে দাবি তাদের। নগরীর গণকপাড়া তুলাপট্টি এলাকার প্রিন্স বেড হাউসের বিক্রেতা মো. মাহবুব হোসেন পাপ্পু বলেন, শীতের ঠান্ডা হাওয়া শুরু হওয়ায় ক্রেতারা আসতে শুরু করছেন। কিন্তু আগের চেয়ে লোক কমই আসছেন। আগে সুতা কিনতাম ৮০০ টাকা কেজি, আর এখন সেটা কিনতে হয় ২ হাজার টাকায়। এ রকম সময়ে ব্যবসা জমজমাট থাকে। কিন্তু জিনিসপাতির দাম বেশি হওয়ার ফলে এখনো পর্যন্ত লেপের অর্ডার খুবই কম।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]