05/06/2025 আশাভঙ্গ! ২৪ দলের জন্য কোনো আসনে ছাড় দেয়নি আ. লীগ
রাজ টাইমস ডেস্ক :
১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৩৬
ভোটের মাঠে আওয়ামী লীগ তাদের জন্য কিছু আসনে ছাড় দেবে এমন আশা করেছিল- নির্বাচনে অংশ নেওয়া ছোট ছোট ২৪ দল। তাদের সে আশার গুড়ে বালি পড়েছে আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর)। কারণ তাঁদের জন্য কোনো আসনেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি আওয়ামী লীগ। খবর টিবিএস বাংলার।
সবশেষ ঘোষণায়– জাতীয় পার্টিকে ২৬ আসনে, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ/ইনু)-কে ৩ আসনে, ওয়ার্কার্স পার্টিকে ২টি এবং জাতীয় পার্টি (মঞ্জু)-র জন্য একটি আসন ছেড়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছে আওয়ামী লীগ।
কিন্তু, সার্বিকভাবে কিংস পার্টি নামে অভিহিত ২৪ ছোট দলের ভাগ্যে কোন ছাড়ই মেলেনি।
সরকারের আনুকূল্যে গঠিত স্বল্প-পরিচিত বিভিন্ন দল, যারা হঠাৎ করেই গুরুত্ব পেয়েছে, বাংলাদেশের রাজনীতিতে তাদের বলা হয়- 'কিংস পার্টি'। কিন্তু, ক্ষমতাসীন আ. লীগের সিদ্ধান্তে এসব দলের অনেকেই হতাশ, যদিও বাদবাকীদের কাছে এমন হওয়াটা অপ্রত্যাশিত ছিল না।
এরমধ্যে অনেক দল আওয়ামী লীগের সাথে জোটে না থাকলেও– ১৪ দলীয় শরিকদের মধ্যেও কিছু দল কোন আসনে ছাড় পায়নি।
শরিক এ দলগুলো হচ্ছে– তরীকত ফেডারেশন, সাম্যবাদী দল, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ফ্রন্ট, গণফোরাম, বিকল্পধারা বাংলাদেশ এবং গণতন্ত্রী পার্টি।
তবে জোটের বাইরে থাকাদের মধ্যে কয়েকটি দল আসন ছাড় না পেয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে।
কোনো নির্বাচনেই একটিও আসন জিততে না পারা জাকের পার্টি ১৪ দলের শরিক না হলেও- আশা করেছিল নির্বাচনে তাঁদের প্রার্থীরা পাবে আওয়ামী লীগের টিকেট। কিন্তু, আসন ছাড়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে যখন সংবাদ প্রকাশিত হতে শুরু করে, তখন ২০০ জন প্রার্থীকে প্রত্যাহার করে নেয় দলটি। জাকের পার্টি মোট ২২১ প্রার্থীকে দলীয় মনোনয়ন দিয়েছিল।
জাকের পার্টির মহাসচিব শামীম হায়দার রোববার দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, 'আজকে আমি মনোনয়ন প্রত্যাহার করব। আমাদের ১০ জনেরও কম প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেবেন।'
জাকের পার্টি নির্বাচন বর্জন করবে কিনা জানতে চাইলে শামীম হায়দার বলেন, 'আমরা কিছু আসনে প্রার্থী রাখা এবং অন্যান্য আসন থেকে প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। খুব শিগগিরই এর ব্যাখ্যা ও বিস্তারিত আমরা সবাইকে জানাব।'
তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব তৈমুর আলম খন্দকার বলেন, 'আমরা কোন আসন- ভাগাভাগির অংশ নেইনি। আমরা জনসমর্থন জিততে চাই। তাই আমরা আওয়ামী লীগের সাথে আসন ভাগাভাগির আলোচনা করিনি।'
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম)- এর মহাসচিব মো. শাহজাহান-ও বলেন, 'আসন-ভাগাভাগির কোন আলোচনায় অংশ নেইনি আমরা। আমরাই একমাত্র দল যারা এ ধরনের আলোচনায় অংশগ্রহণ করেনি। নির্বাচন সুষ্ঠু হয় কিনা– এখন আমরা সেটা দেখার অপেক্ষায় আছি।'