19293

05/19/2024 বৈদেশিক মুদ্রা কারসাজিতে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তার বদলির নির্দেশ

বৈদেশিক মুদ্রা কারসাজিতে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তার বদলির নির্দেশ

রাজ টাইমস ডেস্ক :

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:০৬

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে অনিয়মের কারণে সরকারি বেসরকারি ৯টি ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের ডেকে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একইসঙ্গে অনিয়মে জড়িত কর্মকর্তাদের বদলি করতেও তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এরই মধ্যে বেশ কয়েকটি ব্যাংক তাদের বদলির এ নির্দেশ কার্যকর করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমানের নেতৃত্বে ব্যাংকগুলোর নির্বাহীদের সঙ্গে সম্প্রতি এক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, প্রবাসী কর্মজীবী ও বিদেশ থেকে আসা বাংলাদেশের ভ্রমণকারীরা তাদের সঙ্গে আনা বিদেশি মুদ্রা বিমানবন্দরে থাকা ব্যাংকের বুথ ও মানি এক্সচেঞ্জারে বাংলাদেশি টাকায় এনক্যাশমেন্ট করে থাকেন। নিয়ম

অনুযায়ী ফরেন কারেন্সি এনক্যাশমেন্ট ভাউচার গ্রাহককে দিতে হয়। কিন্তু ব্যাংক ও মানি এক্সচেঞ্জারের কিছু কর্মকর্তা ভাউচার না দিয়ে বা জাল ভাউচার দিয়ে সরাসরি বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে এর বিনিময়ে টাকা দিয়ে দেন, যা মানি লন্ডারিং।

বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহে অনিয়মে জড়ানো চারটি সরকারি ব্যাংক হলো সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক। আর বাকি পাঁচটি বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক হলো পূবালী, যমুনা, সিটি ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।

সম্প্রতি এ ব্যাপারে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আসে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত সোমবার শাহজালাল বিমানবন্দরে অভিযান চালায় দুদকের একটি দল। অভিযানে অভিযোগের সত্যতা মেলে।

দুদক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শাহজালাল বিমানবন্দর হয়ে যে বৈদেশিক মুদ্রা আসে, তা ব্যাংকিং চ্যানেলে রিজার্ভে জমা হওয়ার কথা। কিন্তু কিছু অসাধু কর্মকর্তা ব্যাংকিং চ্যানেলে না দেখিয়ে ডলার কিনে খোলাবাজারে বিক্রি করে দিচ্ছেন। পরে অনেক সময় তা বিদেশে পাচার হয়ে যায়।

দুদকের অভিযানে দেখা যায়, বিদেশ থেকে আসা যাত্রীরা শাহজালাল বিমানবন্দরে বেশি বিনিময় করেন ডলার, ইউরো, রিয়াল, রিঙ্গিত, পাউন্ড ও দিনার।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]