20225

05/19/2024 আবারো অরুনাচলকে নিজেদের দাবি করল চীন

আবারো অরুনাচলকে নিজেদের দাবি করল চীন

রাজ টাইমস ডেস্ক :

২০ মার্চ ২০২৪ ০৯:৪৯

অরুণাচল প্রদেশকে আবারো চীন নিজেদের দাবি করেছে। দেশটির পিপল্স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) সোমবার প্রদেশটিকে তিব্বতের অংশ হিসেবে চীনের বলে দাবি করে। ভারত অবশ্য এর তীব্র প্রতিবাদ করেছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চীনের দাবি পুরোপুরি অযৌক্তিক। মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণবীর জয়সওয়াল মঙ্গলবার বলেন, ‘অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে চীন ক্রমাগত যুক্তিহীন কথাবার্তা বলে চলেছে। আমরা চীনা সামরিক বিভাগের সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো নজরে রেখেছি।’

উল্লেখ্য, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গত ৯ মার্চ অরুণাচল সফরে গিয়েীচিন সীমান্তবর্তী সেলা গিরিপথের ১৩ হাজার ফুট উচ্চতার দ্বিতীয় সুড়ঙ্গটির উদ্বোধন করেছিলেন। তার পরই উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই রাজ্য ঘিরে ‘তৎপর’ হয়েছে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সরকার। এর আগে চীনা পররাষ্ট্র দফতর দাবি করেছিল, জাংনান (অরুণাচল প্রদেশের চীনা নাম) চীনের ভূখণ্ডের অংশ। এবার বিতর্কে ঢুকে পড়ল চীনা ফৌজও।

গত বছর কমিউনিস্ট পার্টি নিয়ন্ত্রিত একদলীয় চীনের সরকারি সংবাদপত্র গ্লোবাল টাইমস সরকারি বিজ্ঞপ্তি উদ্ধৃত করে জানিয়েছিল, জিনপিং সরকার অরুণাচলের ১১টি এলাকার নাম পরিবর্তন করেছে। যার মধ্যে রয়েছে পাঁচটি পর্বতশৃঙ্গ, দু’টি মালভূমি অঞ্চল, দু’টি আবাসিক এলাকা এবং দু’টি নদী।

এর পরেই ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে চীনা পদক্ষেপের কড়া নিন্দা করে জানানো হয়েছিল, অরুণাচলের যে ১১টি অঞ্চলের নাম বদলের কথা বলা হচ্ছে সেগুলো ভারতীয় ভূখণ্ডের অবিচ্ছেদ্য অংশ। এর পরও গত অগস্টে প্রকাশিত ২০২৩ সালের ‘স্ট্যান্ডার্ড ম্যাপ’-এ অরুণাচলকে নিজেদের অংশ বলে দাবি করে জিনপিংয়ের সরকার।

অরুণাচলকে ভারতীয় ভূখণ্ড হিসেবে কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি চীন। তাদের দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারতের ওই প্রদেশ অধিকৃত তিব্বতের দক্ষিণ অংশ। এর আগেও দু’বার অরুণাচলের বিভিন্ন অংশের নাম বদল করেছে চীন। ২০১৭ সালে দলাই লামার অরুণাচল সফরের পরে সে রাজ্যের ছয়টি জায়গার নাম বদল করে চীনা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ২০২১ সালে আরো ১৫টি জায়গার নাম বদলের কথা জানিয়েছিল তারা।

সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]