20416

05/09/2024 'অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন!'

'অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করে শ্রেণি বৈষম্য করেছে রাবি প্রশাসন!'

রাজটাইমস ডেস্ক:

২৭ মার্চ ২০২৪ ১৯:৩৭

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে গতকাল একবেলা খাবারের আয়োজন করেছিল রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে শর্তের বেড়াজালে এ খাবার সংগ্রহ থেকে বঞ্চিত হয় অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় আবাসিকতা ও অনাবাসিকতার উপর নির্ভর করে রাষ্ট্রীয় উদযাপন পালন 'শেণি বৈষম্য' উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন।

এ ধরনের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে শিক্ষার্থীদের সমানভাবে উদযাপনের সুযোগ দিতে না পারার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছে সংগঠনটি। ভবিষ্যতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানান তারা।

বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুরে সংগঠনটির প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক ফাহির আমিন স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা উল্লেখ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তারা।

প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানান, দেশের অন্যতম প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্বীকৃত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় ওয়েবসাইটের তথ্যমতে, এখানে ত্রিশ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। এ বিদ্যাপীঠে ১৭টি আবাসিক হল থাকলেও বেশিরভাগ শিক্ষার্থী হলের আবাসিকতা প্রাপ্তির অধিকার হতে বঞ্চিত হয়ে আসছে। যা শিক্ষার্থীদের জীবনমানের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলছে। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রতি বছরই একবেলা খাবারের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। অনাবাসিক শিক্ষার্থীরা প্রতিবছরের ন্যায় এবারও উক্ত রাষ্ট্রীয় উদযাপন থেকে বঞ্চিত হয়েছে। উক্ত ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন।

অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করার ঘটনা শ্রেণি বিভক্তি ও বৈষম্য বাড়াবে বলে মন্তব্য করেন স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজীব। তিনি বলেন, মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপনের অধিকার দেশের প্রতিটি নাগরিকের আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদেরও উক্ত আয়োজনে অংশ নেওয়ার পূর্ণ অধিকার রয়েছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত সেই খাবার হতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। এর দায় কি শিক্ষার্থীদের না কি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের? নিঃসন্দেহে এ ধরনের পদক্ষেপ বিশ্ববিদ্যালয় পরিসরে শিক্ষার্থীদের মধ্যে শ্রেণি বিভক্তি ও বৈষম্য বাড়াবে।

একই বিবৃতিতে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এফ. আর. এম. ফাহিম রেজা বলেন, মহান স্বাধীনতা দিবস উদযাপন শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল। এ উৎসবে অংশীদারিত্বের মানদণ্ড কখনোই একজন শিক্ষার্থীর আবাসিকতা কিংবা অনাবাসিকতার উপর নির্ভর করা উচিত নয়। এখানে স্পষ্টতই অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ পরিলক্ষিত হয়। যা অনাকাঙ্ক্ষিত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের এ ধরনের পদক্ষেপ সাম্য ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার অন্তরায়।

লিখিত বার্তায় নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, এ ধরনের রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ উদযাপনে শিক্ষার্থীদের সমানভাবে উদযাপনের সুযোগ দিতে না পারার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের শিক্ষার্থীদের কাছে ক্ষমা চাওয়া উচিত। একইসাথে নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে আরও সতর্ক হওয়া উচিত।

এর আগে, দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত এই বিশেষ খাবার সর্বজনীন না করায় তা বর্জন করে বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সাতটি ছাত্রসংগঠন।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]