21199

04/29/2025 ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান আসামি

ফাঁসিতে মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান আসামি

রাজ টাইমস ডেস্ক :

৭ মে ২০২৪ ১৫:০৭

মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়লেন হাফিজার নামে এক আসামি। জয়পুরহাটের কালাই উপজেলায় একটি ভ্যানের জন্য ভ্যানচালক আবু সালাম (২০) হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন আদালত ।

মঙ্গলবার (৭ মে ) বেলা ১২টায় মৃত্যুদণ্ডের এ রায় ঘোষণা করেন জয়পুরহাটের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক মো. নুরুল ইসলাম।

রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রেখে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার নির্দেশনা প্রদান করে রায় দেন আদালত। এ রায় শোনার পরই অজ্ঞান হয়ে পড়ে আসামি। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জয়পুরহাট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ মন্ডল জানান, মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন- জয়পুরহাট জেলার কালাই উপজেলার আওড়া গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদ, মোসলেম উদ্দিনের ছেলে মোস্তাক আহম্মেদ ও জসিম উদ্দিনের ছেলে হাফিজার রহমান। রায় ঘোষণার সময় হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী হারুন অর রশিদ আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন।

মামলা ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০০৫ সালের ১২ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর জয়পুরহাট সদরের দুর্গাদহ বাজার থেকে সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা আবু সালামের ভ্যান ভাড়া করে কালাই যায়। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী আবু সালামকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর কালাই পৌরসভার আওড়া গ্রামের জনৈক আমজাদ হোসেনের পারিবারিক কবরস্থানে পুরাতন কবরে লুকিয়ে রেখে ভ্যান নিয়ে পালিয় যায়। পরদিন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অজ্ঞাত অবস্থায় লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

এ ব্যাপারে কালাই থানার তৎকালীন ওসি মীর্জা মো. শাহাজাহান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কালাই থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক আ. সাত্তার ২০০৫ সালের ৯ জুলাই আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। চার্জশীটে উল্লেখ করা হয় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে শুধু ভ্যানটি নেওয়ার জন্যই ভ্যানচালক আবু সালামকে হত্যা করে। পরে ভ্যানটি ২ হাজার টাকায় বিক্রি করে নিজেরা ওই অর্থ ভাগ করে নেয়।

মামলায় ৭ জনের সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে মঙ্গলবার কালাই উপজেলায় ভ্যানচালক আবু সালাম হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড ও প্রত্যেকের ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড প্রদান করে রায় দেন আদালত।

রায় শুনে এজলাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন হাফিজার রহমান। এ সময় কোর্ট পুলিশের সদস্যরা দ্রুত তাকে উদ্ধার করে জয়পুরহাট ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করার ব্যবস্থা করে বলে জানান পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক আবু ছিদ্দিক।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাড. নৃপেন্দ্রনাথ সন্ডল পিপি ও এপিপি গকুল চন্দ্র মন্ডল, শামীমুল ইমাম শামীম, খাজা শামসুল ইসলাম বুলবুল এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন এ্যাড. আহসান হাবিব চপল ও শহিনুর রেজা শানু।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]