21564

05/01/2025 ৫০০০ টাকার বিনিময়ে ৮০ টুকরা করা হয় আনারের লাশ!

৫০০০ টাকার বিনিময়ে ৮০ টুকরা করা হয় আনারের লাশ!

রাজ টাইমস ডেস্ক :

২৫ মে ২০২৪ ১০:২৯

সময় যত গড়াচ্ছে ঝিনাইদহের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা নিয়ে তত নৃশংস তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে। খুনের ঘটনায় ধৃত কসাই জিহাদকে লাগাতার জেরা করে যেসব বিস্ফোরক তথ্য জানতে পারছেন ভারতের তদন্তকারীরা, তাতে অফিসারদেরও মাথা ঘুরে যাওয়ার জোগাড়।

কলকাতার পুলিশের দাবি, জেরায় সে জানিয়েছে, আনোয়ারুলের লাশ ৮০ টুকরা করে নিউটাউন, ভাঙড় এলাকার নানা জায়গার জলাশয়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। এর বিনিময়ে ৫০০০ টাকা পেয়েছে সে। আর তার এই স্বীকারোক্তির পর তদন্তকারীদের একাংশের মত, সেসব খণ্ডাংশ উদ্ধার করা আরো কঠিন হয়ে গেল। ইতিমধ্যেই তা কোনো না কোনো জলচর প্রাণীর পেটে চলে গিয়ে থাকতে পারে বলে অনুমান।

গত ১২ মে কলকাতায় চিকিৎসা করাতে আসেন ঝিনাইদহের এমপি আনোয়ারুল আজিম। ১৩ তারিখ রাতে তিনি নিউটাউনের ফ্ল্যাটে খুন হন। দিন দুই নিখোঁজ থাকার পর তার হত্যা সম্পর্কে নিশ্চিত হয় পুলিশ। এই ঘটনার তদন্তভার যায় সিআইডির হাতে।

হত্যায় জড়িত সন্দেহে বাংলাদেশ থেকে তিনজন গ্রেফতার হয়। অন্যদিকে, বনগাঁ থেকে গ্রেফতার হয় জিহাদ ও সিয়াম নামে দুই ব্যক্তি। এদের মধ্যে জিহাদ পেশায় কসাই। বাংলাদেশের বাসিন্দা হলেও মুম্বইতে সে কাজ করত।

জেরায় জানা যায়, এমপিকে খুনের জন্য তাদের ভাড়ায় কাজ দেয়া হয়েছিল। তাই মুম্বই থেকে কলকাতায় এসে কাজ শেষের পর বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ পালানোর পরিকল্পনা ছিল। তার মাঝেই ধরা পড়েছে। খুনের পর এমপির দেহ টুকরো করে ভাঙড়ে এলাকার জলাশয়ে ফেলা হয়েছে। সেইমতো বৃহস্পতিবার রাত থেকে লাগাতার জলাশয় তল্লাশি চালিয়েও একটি অংশও এখনো উদ্ধার হয়নি।

শুক্রবার ধৃতদের জেরা করে আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে এল পুলিশের। জানা গেছে, ৫০০০ টাক দেয়া হয়েছিল জিহাদকে। খুনের পর আনোয়ারুলের লাশ ৮০ টুকরো করা হয়। মস্তিষ্ক সম্পূর্ণ গুঁড়িয়ে দেয়া হয়। হাড়, মাংস পৃথক করে হলুদ মাখিয়ে একেকটি টুকরা একেক জায়গার জলাশয়ে ফেলা হয়েছে। যদিও কোথায় কী ফেলা হয়েছে, সে বিষয়ে এখনো মুখে কুলুপ ধৃতদের। তবে পুলিশের অনুমান, দেহাংশ খুঁজে পাওয়া কঠিন।

তদন্তে আনো জানা যাচ্ছে, ২০০ কোটি টাকার বখরা নিয়ে এমপি আনোয়ারুলের সাথে হত্যাকাণ্ডে মাস্টারমাইন্ড শাহিনের মূল ঝামেলা। আগেও একাধিকবার এমপিকে খুনের হুমকি দিয়েছিল শাহিন। প্রথমে ঢাকার গুলশানে এবং পরে কলকাতার নিউমার্কেটে বসে হত্যার ব্লুপ্রিন্ট তৈরি হয়।

এক্ষেত্রে শাহিনের তুরুপের তাস ছিল বান্ধবী শিলাস্তি। শেষমেশ কলকাতায় আসা আনোয়ারুলকে শিলাস্তির ‘হানিট্র্যাপে’ ফেলে নিউটাউনের ফ্ল্যাটে এনে খুন করা হয়েছে। ঘটনাপ্রবাহ দেখে এমনই অনুমান করছেন তদন্তকারীরা।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]