23557

04/29/2025 বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান শুরু

বেক্সিমকোর বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং আইনে অনুসন্ধান শুরু

রাজ টাইমস ডেস্ক:

১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৮:০১

সালমান এফ রহমান এর প্রতিষ্ঠান ‘বেক্সিমকো’র অনিয়ম এর বিষয়ে বিষয়ে মানিলন্ডারিং আইনে নিয়মিত অনুসন্ধান পরিচালনা পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করছে সিআইডি’র ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম শাখা।

অনুসন্ধান কার্যক্রম পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, বেক্সিমকো গ্রুপ গত ১৫ বছরে ৭টি ব্যাংক থেকে প্রতারনা ও জালিয়াতীর মাধ্যমে ঋণ গ্রহন পূর্বক বিদেশে পাচারের অভিযোগ রয়েছে। ১। জনতা ব্যাংক থেকে ২৯টি প্রতিষ্ঠানের ২১ হাজার ৬৮১কোটি টাকা ঋণের তথ্য পাওয়া গেছে। ২। আইএফআইসি ব্যাংক থেকেও নামে-বেনামে মোট ৫২১৮ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। ৩। ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে মোট ২৯৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। ৪। সোনালী, অগ্রনী ও রুপালী ব্যাংক থেকে মোট ৫৬৭১ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছেন। ৫। এবি ব্যাংকে ৪ প্রতিষ্ঠানের নামে মোট ৬০৫ কোটি টাকা গ্রহণ করছে।

সালমান এফ রহমান তাহার মালিকানাধীন উপরোক্ত টাকা তাহার কোম্পানীর বেক্সিমকো গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ও বেনামে গ্রহণ পূর্বক বিদেশে পাচার করার অভিযোগ রয়েছে।

এছাড়াও গত তিন বছরে দৃশ্যমানভাবে বাজার থেকে ৬ হাজার ৬০০ কোটি টাকা নিয়েছে এবং অদৃশ্য ভাবে ২০ হাজার কোটি টাকা প্রতারণা ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে হাতিয়ে নিয়েছে মর্মে অভিযোগ রয়েছে। বিভিন্ন সূত্র থেকে প্রাপ্ত খবরে উক্ত ব্যক্তি ও তাহার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতারণা, জালজালিয়াতির মাধ্যমে বিদেশে অর্থ পাচার করায় উক্ত ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং সংক্রান্তেবিস্তারিত অনুসন্ধান পূর্বক মামলা করার কার্যক্রম চলমান আছে। যে কোন সময় মামলা দায়ের করা হবে।

জানা যায়, সালমান এফ রহমান ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টরা অর্থ পাচার করে দুবাই, সিঙ্গাপুর, ইউকে সহ বিভিন্ন দেশে বিনিয়োগ ও ফ্লাট ক্রয় করেছে। তার ছেলে সায়াম ফজলুর রহমানের নামে সৌদি আরবে একটি বৃহৎ ফার্মাসিটিক্যাল কোম্পানী করেছে। অথচ বিদেশে ঔষধ কোম্পানী করে দেশের শিল্পের বিকাশে প্রতিবন্ধকতা তৈরী করেছে।

‘বেক্সিমকো’ গ্রুপের ১৮ টি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে পন্য রপ্তানী করে রপ্তানী মূল্য প্রত্যাবর্তন না করে ১৩৫ মিলিয়ন ডলার পাচার করে ট্রেড বেইজড মানিলন্ডারিং করে।

সৌদি আরবে দাম্মাম, দুবাই এর কাছাকাছি যৌথ বিনিয়োগে সৌদিতে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড এর বেশিভাগ অর্থ বাংলাদেশের। আর ওখানে প্রায় ৩০ ধরণের ওষুধ তৈরি করা হয়।

বাংলাদেশ নিজদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে রফতানি করছে। ঔষধ প্রসাশন অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থ বছর ওষুধ রফতানি হয়েছে হব বছ ১৮ সকাটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজারের ডলারের।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]