23693

04/30/2025 প্রতিশোধ না নেওয়ার মানে আইন হাতে তুলে নেবো না

প্রতিশোধ না নেওয়ার মানে আইন হাতে তুলে নেবো না

রাজ টাইমস ডেস্ক :

৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ২০:৫৮

আমরা প্রতিশোধ নেবো না বলেছি, তার মানে আইন হাতে তুলে নেবো না বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, বলেন, ‘আমরা প্রতিশোধ নেবো না বলেছি। তার মানে আমরা আইন হাতে তুলে নেবো না। কিন্তু সুনির্দিষ্ট ঘটনায় মামলাও হবে। সাজাও পেতে হবে।’

বৃহস্পতিবার রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে দলের কেন্দ্রীয় মজলিসে শূরার উদ্বোধনী অধিবেশনে বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

গণহত্যাকারীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ছাত্র-জনতার বিপ্লবের সময় তৎকালীন সরকার যা করেছিল তা ছিল সুস্পষ্ট গণহত্যা। কেবল ক্ষমতায় টিকে থাকতেই এসব করা হয়েছে। লাশ গুম করা হয়েছে। তার প্রমাণ আশুলিয়ায়। এই গণহত্যা যারা চালিয়েছে তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে।’

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের ওপর নানাভাবে জুলুম করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে দিশাহারা হয়ে জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরকে নিষিদ্ধও করে তারা।’

ছাত্রদের ওপর জুলুমের কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন,‘ছাত্রদের শৃঙ্খলিত আন্দোলনকে উসকে দিতে চেয়েছিল বিগত সরকার, কিন্তু ছাত্ররা তাতে থামেনি।

সে সময় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী তার দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করতে পারেননি। তাদের জুলুমের কারণেই ছাত্ররা এক দফা দাবি শুরু করে। পরে তাদের সঙ্গে সহমত জানায় আমজনতা ও বিরোধী মতের রাজনৈতিক দলগুলো।’

তিনি আরও বলেন, ‘একটা সভ্য দেশে আয়নাঘর কীভাবে থাকতে পারে? শুরুতে অনেকেই আয়নাঘরের কথা বিশ্বাস না করলেও আজ এটা প্রকাশ্যে এসেছে। শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের ওপরও একইভাবে নির্যাতন হয়েছে।’

মিথ্যা সাক্ষ্যর মাধ্যমে জামায়াত নেতাদের অনেককেই ফাঁসি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে উল্লেখ করে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমাদের নেতাকর্মীদের জেল-জুলুম দেওয়া হয়েছে। গুম করা হয়েছে। আয়নাঘরের মতো জায়গায় আটকে রাখা হয়েছে। ধর্মীয় অধিকার পর্যন্ত সেখানে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে।’

জামায়াত নেতাকর্মীদের ওপর অত্যন্ত নিষ্ঠুর আচরণ করা হয়েছে বলেন তিনি

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]