কোভিড-১৯ মোকাবিলায় আবারো সবাইকে সতর্ক হতে পুনরায় নির্দেশনা দিল সরকার। মুখে মাস্ক পড়া না থাকলে সরকারি-বেসরকারি সেবা না দেওয়া ও শারীরিক দূরত্ব নিশ্চিত করার জন্য ফের নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার (২১ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চ্যুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।

পুনরায় নির্দেশনার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

ভার্চুয়াল মিটিং এ গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষ থেকে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা বৈঠকে অংশ নেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে বলেন, কোভিড-১৯ সংক্রমণরোধে স্থানীয় সরকার বিভাগ গৃহীত পদক্ষেপ ও কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে মন্ত্রিসভাকে অবহিত করা হয়েছে।

সরকার মহামারী প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় গত জুলাই মাসে বাসার বাইরে সব জায়গায় সবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে। সবার মাস্ক ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালত চালিয়ে জেল-জরিমানা করা হচ্ছে।

এই সময় তিনি জানান, ‘নো মাস্ক, নো সার্ভিস’ এটা ব্যাপকভাবে প্রচার করার জন্য স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে প্রচার-প্রচারণা চালানো হচ্ছে। গ্রামাঞ্চলে, শিক্ষক, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি, সমাজের সচেতন ব্যক্তিকে এ কাজে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ‌‘প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন যেহেতু করোনা ভাইরাস বিশ্বে স্প্রেড করছে, এটা আমাদের আরও একটু স্ট্রং অ্যাকশনে যেতে হবে। যাতে যথাসম্ভব সোশ্যাল ডিসটেন্সিং মেইনটেইন করা যায়। আর মাস্কের কথা তো বার বার আলোচনায় আসছে। ’

সচিব বলেন, নো মাস্ক, নো সার্ভিস এটা মুখে বলছি, এটাকে প্র্যাকটিক্যালি অ্যাপ্লাই করতে হবে। যে মাস্ক না পড়ে আসবে সে সরকারি-বেসরকারি অফিসে কোনোভাবেই যেন সেবা না পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। এটার একটা বড় রোল দেওয়া হয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগকে।

গণমাধ্যমকে তিনি আরো বলেন, এখন একটা সুবিধা হচ্ছে, আমরা তো বুঝতে পারছি। কিন্তু মার্চ, এপ্রিল, মে মাসে আমাদের কোনো ধারণাই ছিল না। এখন ট্রিটমেন্ট প্রটোকল বোঝা যাচ্ছে, হ্যান্ডেলিং ম্যানেজমেন্ট বোঝা যাচ্ছে।

• এসএইচ