04/29/2025 ইবির ট্যুরিজম বিভাগের ইফতার মাহফিল ও কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
মোহাম্মদ সাদ, ইবি প্রতিনিধি :
৪ মার্চ ২০২৫ ০০:০৩
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে(ইবি) ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল এবং কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩ মার্চ) ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের চারতলায় ৬১৪ নাম্বার কক্ষে এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শরীফুল ইসলাম জুয়েল, ইউম্যান রির্সোস ম্যানেজমেন্ট বিভাগের সভাপতি সহকারী অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, বিভাগটির সহকারী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক জেসমিন আক্তার, প্রভাষক ইয়ামিন মাসুম ও প্রভাষক নাসির মিয়য়।
আরও উপস্থিত ছিলেন ইবির কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম আশরাফ আলী খান আযহারী এবং বঙ্গবন্ধু হল মসজিদের খতিব মনিরুজ্জামান। বিভাগটির শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
এসময় কুরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় প্রথম বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফারুক হোসেন, দ্বিতীয় হয়েছেন ২০১৮-১৯ বর্ষের শিক্ষার্থী রেদুওয়ান হাসান ও তৃতীয় হয়েছেন একই শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী নাঈম হোসেন। ইসলামী সংগীতে প্রথম হয়েছেন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মুনায়েম, দ্বিতীয় হয়েছেন ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের ইমন এবং তৃতীয় হয়েছেন ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের রবিন।
বিভাগটির সভাপতি শরিফুল ইসলাম বলেন, ''আমাদের সমাজে কোনো ধরনের বর্ণ বৈষম্য থাকা উচিত নয়। এ মাস সম্পর্কে তিনি বলেন, "রমজান আত্মশুদ্ধি ও তাকওয়া অর্জনের মাস। এই মাস আমাদের শেখায় কীভাবে এক মাসের সংযম ও সাধনার মাধ্যমে বাকি ১১ মাসের জীবন পরিচালনা করতে হয়। প্রকৃত পরিবর্তন তখনই আসে, যখন আমরা এই শিক্ষাকে বছরের বাকি সময়েও ধরে রাখতে পারি।"
কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দীন খান আজহারি বলেন, আমরা আজ উদাসীন, যেন স্রোতের মুখে ভেসে চলেছি নির্দিষ্ট গন্তব্যহীনভাবে। কিন্তু যদি আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সুস্পষ্ট থাকে, তাহলে কখনো পথভ্রষ্ট হবো না। রমজান ঠিক তেমনই একটি মাস, যা আমাদের জন্য লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নির্ধারণের সুযোগ এনে দেয়। যদি আমরা রমজানের শিক্ষা শুধু এই এক মাসের জন্য নয়, বরং সারাবছর বাস্তবায়ন করতে পারি, তাহলে আমাদের জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর ও সার্থক।
অনুষ্ঠানে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব আশরাফ উদ্দীন খান আজহারি। এর আগে কুরআন তিলাওয়াত ও ইসলামী সংগীত প্রতিযোগিতায় যারা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন, তাদেরকে শিক্ষকবৃন্দ শিক্ষাসামগ্রী ইসলামী বই পুরস্কার প্রদান করেছেন।