রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচন ঘিরে আচরণবিধি, খসড়া ভোটার তালিকা এবং ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে নেওয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ‘সচেতন শিক্ষার্থী সমাজ’।

সোমবার (৫ মে) দুপুর ১টায় রাকসু ভবনের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী সালমান সাব্বির। তিনি বলেন, ‘রাকসু হলো শিক্ষার্থীদের গণতন্ত্র চর্চা ও ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।

গত ৩৬ বছর ধরে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চললেও, চব্বিশের বিপ্লবের পরেও এই অধিকার এখনও বাস্তবায়িত হয়নি। জুলাই বিপ্লবের ৯ দফার একটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি ছিল ছাত্র সংসদ নির্বাচন দ্রুত আয়োজন এবং লেজুড়বৃত্তিক রাজনীতির অবসান। এর উদ্দেশ্য ছিল ছাত্রসমাজকে গণতন্ত্র চর্চায় সম্পৃক্ত করে জাতীয় নেতৃত্বে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।’

তিনি আরও বলেন, ‘রাকসু নির্বাচন নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন অংশের ভূমিকা ও দৃষ্টিভঙ্গি প্রশ্নবিদ্ধ। ঘোষিত রোডম্যাপ বারবার উপেক্ষিত হয়েছে। ১৩ এপ্রিল আচরণবিধি এবং ২৮ এপ্রিল খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের কথা থাকলেও তা এখনো হয়নি। এতে করে নির্বাচন নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিলম্ব ও অপকৌশলের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, কিছুদিন আগে রাকসু নির্বাচন কমিশন গঠিত হলেও এখনো কোনো বৈঠক হয়নি। এদিকে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক উত্তেজনা ক্যাম্পাসের শিক্ষা ও নিরাপত্তা পরিবেশকে ব্যাহত করছে। ২৮ এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত যাদের ছাত্রত্ব রয়েছে, কেবল তাদেরই ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে— অন্যথায় তা নির্বাচনী আচরণবিধির লঙ্ঘন ও নির্বাচন বানচালের অপপ্রয়াস হিসেবে বিবেচিত হবে।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা চার দফা দাবি তুলে ধরেন:

১. আগামী তিন দিনের মধ্যে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। ২৮ এপ্রিলের পর ভর্তি হওয়া কোনো শিক্ষার্থীকে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।

২. রাকসু নির্বাচনের নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী পূর্ণাঙ্গ পরিকল্পনা এবং নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করতে হবে।

৩. নির্বাচন কমিশনকে আগামী সাত দিনের মধ্যে সব স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনা করে রাকসুর নির্বাচনি তফসিল ঘোষণা করতে হবে।

৪. ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বহিরাগত বাইক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং বহিরাগতদের প্রবেশ সীমিত করতে হবে।