27769

06/28/2025 বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের ‘স্বার্থ অনুযায়ী’ নতুন গঙ্গা চুক্তি চায় ভারত

বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের ‘স্বার্থ অনুযায়ী’ নতুন গঙ্গা চুক্তি চায় ভারত

রাজ টাইমস ডেস্ক

২৭ জুন ২০২৫ ২১:৫০

বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন চুক্তির মেয়াদ শেষ হতে যাচ্ছে আগামী ২০২৬ সালে। এরপর বাংলাদেশের সঙ্গে নিজেদের ‘স্বার্থ অনুযায়ী’ নতুন চুক্তির ব্যাপারে ভাবছে দিল্লি।

শুক্রবার (২৭ জুন) ভারতীয় গণমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়ার প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু নদীর পানি চুক্তি বাতিলের পর এবার বাংলাদেশের সঙ্গে বিদ্যমান গঙ্গা চুক্তিতে পরিবর্তন আনার কথা ভাবছে ভারত।

গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয়ক চুক্তিটির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। ৩০ বছর আগে ১৯৯৬ সালে এই চুক্তিটি কার্যকর হয়েছিল। এখন নতুন করে চুক্তির বিষয়টি সামনে আসছে। যেখানে নতুন চুক্তির ক্ষেত্রে পারস্পরিক সমঝোতার প্রয়োজন। সেখানে ভারত সম্পূর্ণ নতুন একটি চুক্তি নিয়ে ভাবছে যেখানে তাদের ‘বর্তমান উন্নয়নমূলক বিষয়াবলীর’ বিষয়টি থাকবে।

ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, ১৯৯৬ সালের পুরানো চুক্তির কাঠামো বর্তমান সময়ের সঙ্গে খাপ খাচ্ছে না। জলবায়ু পরিবর্তন, কৃষি সম্প্রসারণ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও নদীবন্দর ব্যবস্থাপনার মতো নানা কারণে শুষ্ক মৌসুমে ভারতের পানির চাহিদা বহুগুণে বেড়েছে। ফলে, আগের চুক্তির আওতায় নির্ধারিত পানি সরবরাহ দেশটির প্রয়োজন পূরণ করতে পারছে না।

ভারতের পরিকল্পনা অনুযায়ী, প্রতি বছর মার্চ থেকে মে মাস পর্যন্ত ফারাক্কা ব্যারাজ থেকে তারা আরও অতিরিক্ত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার কিউসেক পানি নিতে চায়। তাদের দাবি, বর্তমান উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য এই বাড়তি পানির প্রাপ্যতা জরুরি।

ফারাক্কা বাঁধ পশ্চিমবঙ্গের মালদহ জেলায় অবস্থিত হওয়ায় এ বিষয়ে রাজ্য সরকারের মতামত গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, এই নতুন চুক্তির পক্ষে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ সরকারও একমত। তাদের মতে, এখন যে পরিমাণ পানি দরকার, তা বর্তমান চুক্তির আওতায় পাওয়া সম্ভব নয়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে গঙ্গা নদীর পানি বণ্টন নিয়ে দীর্ঘদিনের দ্বন্দ্বের প্রেক্ষাপটে ১৯৯৬ সালে চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর ওই বছরের ডিসেম্বরে চুক্তিটি কার্যকর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি বছর জানুয়ারি থেকে মে পর্যন্ত শুষ্ক মৌসুমে ফারাক্কা ব্যারাজে গঙ্গার পানির প্রবাহ দুই দেশের মধ্যে ভাগাভাগি হবে নির্দিষ্ট সূত্রে।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]