রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) আট পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।আবাসিক হোটেলে বসে মাদক সেবন ও জুয়া খেলার অপরাধে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

বরখাস্তকৃত মধ্যে ছয়জন রাজশাহী মহানগর পুলিশের (আরএমপি) এবং দুইজন জেলা পুলিশের সদস্য। এই আটজনের সঙ্গে জেলা পুলিশের অবসর-উত্তর ছুটিতে (পিআরএল) থাকা এক বাবুর্চিকেও জুয়ার আসর থেকে আটক করা হয়।

বরখাস্তকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবদুল বারেক ও এএসআই মিজানুর রহমান; নায়েক আফজাল সরকার, কনস্টেবল ফরহাদ হোসেন, আবদুস সালাম ও সাহেদ আলী। আর জেলা পুলিশের দুইজন হলেন- কনস্টেবল রফিকুল ইসলাম ও বিপুল। জেলা পুলিশের পিআরএলে থাকা বাবুর্চির নাম আবদুল করিম।

এরা সবাই জেলা ও মহানগর পুলিশ লাইনেই কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকেই আবাসিক হোটেলে গিয়ে নেশায় বুদ হয়ে খেলছিলেন জুয়া। পুলিশের অভিযানেই তারা ধরা পড়েন। জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতেখায়ের আলম তাদের দুই সদস্যকে সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তাদের ডোপ টেস্ট করা হবে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্র নিশ্চিত করেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার (০৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আরএমপি কমিশনার আবু কালাম সিদ্দিক এক অফিস আদেশে ছয় সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। এরপর তাদের পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়। আরএমপি কমিশনার স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়েছে, এসব পুলিশ সদস্যরা বুধবার দিবাগত রাতে নগরীর শেখপাড়া এলাকায় ‘বিয়ের আমন্ত্রণ’ নামের একটি আবাসিক হোটেলের দোতলায় টাকা দিয়ে তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলাসহ মাদক সেবন করেন। রাত ১টা ২২ মিনিটে বোয়ালিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বিষয়টি অবগত হয়ে সেখানে যান।

উপস্থিতস্থলে এসআই মাসুদ রানা টাকা দিয়ে তাসের মাধ্যমে জুয়া খেলাসহ মাদক সেবনের সত্যতা পান। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে এসআই মাসুদ রানা ওই ছয় পুলিশ সদস্যকে আরএমপির আরআই মাহফুজুর রহমান ও আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে জিম্মানামার মাধ্যমে হস্তান্তর করেন।

আরএমপির কমিশনারের পক্ষ থেকে দেয়া অফিসিয়াল আদেশে বলা হয়েছে, এসব পুলিশ সদস্যদের এমন কার্যকলাপ বিভাগীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী ও অসাদচরণের সামিল। তাই এসব পুলিশ সদস্যকে পিআরবি রুলস ৮৮০ মোতাবেক ৭ জানুয়ারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো। সাময়িক বরখাস্তকালীন সময় তারা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

• এসএইচ