29320

12/04/2025 গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধের জোরালো প্রমাণ রয়েছে: জাতিসংঘ মহাসচিব

গাজায় ইসরায়েলি যুদ্ধাপরাধের জোরালো প্রমাণ রয়েছে: জাতিসংঘ মহাসচিব

রাজ টাইমস ডেস্ক

৪ ডিসেম্বর ২০২৫ ১৮:৩৭

গাজায় বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা এবং সামরিক আগ্রাসনের ফলে সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের পেছনে ইসরায়েলের 'সম্পূর্ণ অবহেলা' রয়েছে বলে মনে করেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।

তিনি সতর্ক করেন, ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে যুদ্ধাপরাধ সংঘটিত হয়েছে বলে বিশ্বাস করার মতো জোরালো প্রমাণ রয়েছে।

বুধবার (৩ ডিসেম্বর) রয়টার্সের সঙ্গে একান্ত সাক্ষাৎকারে গুতেরেস এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, 'আমি মনে করি বেসামরিক নাগরিকদের মৃত্যু এবং গাজার ধ্বংসের ক্ষেত্রে সম্পূর্ণ অবহেলার সঙ্গে এই অভিযানটি যেভাবে পরিচালিত হয়েছিল, তাতে মৌলিকভাবে কিছু ভুল ছিল।'

জাতিসংঘ প্রধান উল্লেখ করেন, যুদ্ধের ফলে গাজা ধ্বংস হয়ে গেছে। অন্যদিকে ইসরায়েল ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসকে 'নির্মূল' করার ঘোষিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।

দখলদার সরকারের আগ্রাসন যুদ্ধাপরাধের সমতুল্য হতে পারে কিনা, জানতে চাইলে জাতিসংঘ প্রধান বলেন, 'এই সম্ভাবনা বাস্তবে রূপ নিতে পারে বলে বিশ্বাস করার জোরালো কারণ রয়েছে।'

গত ১১ অক্টোবর থেকে গাজায় মার্কিন মধ্যস্ততায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়েছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি গণহত্যার যুদ্ধ অঞ্চলজুড়ে নিহতের সবশেষ সংখ্যা ৭০ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। একই সময়ে ১ লাখ ৭০ হাজারের বেশি বেশি মানুষ আহত হয়েছে। অনেকেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন।

চলতি বছরের শুরুতেও একটি যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে ইসরায়েল গত ২৭ মে থেকে গাজায় পৃথক সাহায্য বিতরণ উদ্যোগ শুরু করে। এই পদক্ষেপের পর অঞ্চলটিতে দুর্ভিক্ষ প্রকট হয়ে উঠেছিল। ইসরায়েলি বাহিনী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হওয়া ফিলিস্তিনিদের ওপরও গুলি চালিয়ে যায়। এর ফলে শত শত মানুষ নিহত হয়। সেই সঙ্গে দুর্ভিক্ষে শিশুসহ বহু মানুষের মৃত্যু হয়।

গত বছরের নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু ও তার প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। উপত্যকাজুড়ে যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখি।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]