04/29/2025 হাইজিংক সমৃদ্ধ নতুন জাতের ধানের অনুমোদন
রাজটাইমস ডেস্ক
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৩:৪৪
বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) কর্তৃক উদ্ভাবিত হাইজিংকসমৃদ্ধ ‘ব্রিধান ১০০’ জাতের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় বীজ বোর্ড। মুজিব বর্ষেই এ জাতটি আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হবে। মঙ্গলবার বিকালে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৪তম সভায় এ সিদ্ধান্ত হয়।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ও জাতীয় বীজ বোর্ডের সভাপতি মো. মেসবাহুল ইসলাম সভায় সভাপতিত্ব করেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) উদ্ভাবিত লবণাক্ততা সহিষ্ণু দেশি পাটের (বিজেআরআই দেশী পাট-১০) জাত অবমুক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিনিয়র কমিউনিকেশন অফিসার মো. আব্দুল মোমেন এ তথ্য জানান।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ব্রি উদ্ভাবিত শততম জাতের (ব্রি ধান-১০০) অবমুক্তকরণ এটি।
ব্রির তথ্যে জানা যায়, ‘ব্রিধান ১০০’ হাইজিংকসমৃদ্ধ। জিংকের পরিমাণ প্রতি কেজিতে ২৫.৭০ মিলিগ্রাম। দেশের ১০টি স্থানে ট্রায়াল করে গড় ফলন হেক্টর প্রতি ৭.৬৯ মেট্রিক টন পাওয়া গেছে। জাতটির জীবনকাল ১৪৮ দিন। বোরো মৌসুমে চাষের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
জাতীয় বীজ বোর্ডের সভাপতি মো. মেসবাহুল ইসলাম বলেন, মুজিব শতবর্ষে উচ্চজিংকসমৃদ্ধ ‘ব্রিধান ১০০’ অবমুক্ত করতে পারা খুবই আনন্দের। আশা করা যায়, এটি একটি মেগা ভ্যারাইটি হবে। দেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুষ্টির অধিকাংশ ক্যালরি, প্রোটিন ও মিনারেল আসে ভাত থেকে। ভাত তাদের কাছে সহজলভ্য। জিংকসমৃদ্ধ এ জাতটি উদ্ভাবনের ফলে মানুষের জিংকের চাহিদা অনেকটাই পূরণ হবে।
ব্রির মহাপরিচালক ড. মো. শাহজাহান কবীর বলেন, ‘ব্রি ধান ১০০ মুজিব শতবর্ষে ব্রির শততম জাত হিসেবে অবমুক্ত হওয়ায় একটি বিশেষত্ব পাবে। এ জাত উচ্চমাত্রার জিংকসমৃদ্ধ। ফলন ব্রি ধান ২৯ থেকে বেশি এবং জীবনকাল ব্রি ধান ২৮ এর মতো, যা আমাদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। আমাদের পরিকল্পনা অতি দ্রুত এ জাতটি কৃষকের কাছে জনপ্রিয় করে একদিকে উৎপাদন বৃদ্ধি ও অন্যদিকে পুষ্টির যোগান দেওয়া সম্ভব হবে’।
উল্লেখ্য বিজেআরআই দেশী পাট-১০ জাতটি স্বল্পমেয়াদি ও মধ্যম মাত্রার লবণাক্ততাসহিষ্ণু। এটি দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকায় বপন উপযোগী। আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো গাছের বয়স ১০৫-১১৫ দিন হলেই কেটে রোপা আমন ধান লাগানো যায়। এবং আমন কেটে রবি ফসল চাষ করা যায়। খুলনা ও বরিশালে ৫টি ট্রায়ালে হেক্টর প্রতি আঁশের ফলন ২.৫৭ টন ও পাট কাঠির ফলন ৭.২১ মেট্রিক টন পাওয়া গেছে।
সূত্র: দেশ রুপান্তর