দেশের ২১ জন বিশিষ্ট ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ‘গৌরবদীপ্ত অবদানের’ স্বীকৃতি হিসেবে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদক-২০২১ পেয়েছেন।

শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তনে পদক বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

এই সময় মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে  বিশিষ্ট নাগরিক ও তাদের প্রতিনিধিদের হাতে পদক তুলে দেন।

পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রত্যেককে ৩৫ গ্রাম ওজনের একটি স্বর্ণপদক, এককালীন চার লাখ টাকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়।

ভাষা আন্দোলনে এ বছর মরণোত্তর একুশে পদক পেয়েছেন তিনজন। তারা হলেন- মোতাহের হোসেন তালুকদার (মোতাহার মাস্টার), শামছুল হক ও আফসার উদ্দীন আহমেদ।

মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য পদক পান সৈয়দা ইসাবেলা (মরণোত্তর), গোলাম হাসনায়েন ও ফজলুর রহমান খান ফারুক।

সংগীতে পাপিয়া সারোয়ার, অভিনয়ে রাইসুল ইসলাম আসাদ ও সুজাতা আজিম, নাটকে আহমেদ ইকবাল হায়দার, চলচ্চিত্রে সৈয়দ সালাউদ্দিন জাকী, আবৃত্তিতে ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায় এবার একুশে পদক পেয়েছেন।

সাংবাদিকতায় অজয় দাশগুপ্ত, আলোকচিত্রে পাভেল রহমান, গবেষণায় সমীর কুমার সাহা, শিক্ষায় মাহফুজা খানম, অর্থনীতিতে মির্জা আব্দুল জলিল, সমাজসেবায় অধ্যাপক কাজী কামরুজ্জামানকেও পদক দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া ভাষা ও সাহিত্যে কবি কাজী রোজী ও লেখক-গবেষক গোলাম মুরশিদের পাশাপাশি বুলবুল চৌধুরীও একুশে পদক পান।

গত ৪ ফেব্রুযারি ২০২১ সালের একুশে পদকের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

এই সময় ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ওসমানি স্মৃতি মিলনায়তন প্রান্ত থেকে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।

পদক বিতরণ এই অনুষ্ঠানে মন্ত্রিপরিষদ সদস্য, বিশিষ্ট নাগরিকদের পাশাপাশি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, মন্ত্রণালয়ের  সচিব মো. বদরুল আরেফীনসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

• এসএইচ