4053

04/28/2024 টিকা কিনতে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ

টিকা কিনতে ৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিচ্ছে বাংলাদেশ

রাজটাইমস ডেস্ক

২০ মার্চ ২০২১ ০৩:২৮

করোনা প্রতিরোধে টিকা কিনতে বাংলাদেশকে ৫০ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই অর্থের পরিমাণ প্রায় চার হাজার ২৫০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ৮৫ টাকা ধরে)। বিশ্বব্যাংকের এই টাকায় দেশের পাঁচ কোটি ৪০ লাখ মানুষের টিকাদান নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) এই ঋণ অনুমোদন করে বিশ্বব্যাংকের সদর দফতর। পরে সংস্থাটির ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। পাঁচ বছরের গ্রেস (কিস্তি অব্যাহতি) পিরিয়ডসহ আগামী ৩০ বছর মেয়াদে এই ঋণ বাংলাদেশকে পরিশোধ করতে হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ‘কোভিড-১৯ এমারজেন্সি রেসপন্স অ্যান্ড প্যান্ডামিক প্রিপেয়ার্ডনেস’ প্রকল্পে বিশ্বব্যাংকের অতিরিক্ত এই অর্থায়নে প্রথম পর্যায়ে দেশের ৪০ শতাংশ মানুষকে টিকাদানের আওতায় আনতে সরকারের যে প্রাথমিক অগ্রাধিকার পরিকল্পনা, তার অধীনে ৩১ শতাংশ মানুষকে টিকা দিতে সহায়তা করবে। এটি নিরাপদ ও কার্যকর টিকা কেনা, সংরক্ষিত সুবিধা সম্প্রসারণ এবং বিতরণে সরকারকে সহায়তা করবে।

সংস্থাটির বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন বলেন, ‘জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে করোনা প্রতিরোধে বাংলাদেশ দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। টিকাদান কর্মসূচির লক্ষ্য অর্জনে দ্রুত এবং সাম্যতার সঙ্গে মানুষের টিকা প্রাপ্তি জরুরি। এই অর্থায়ন জাতীয় স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করার মাধ্যমে বাংলাদেশের এক-তৃতীয়াংশ জনগণের জন্য অবিলম্বে টিকা সরবরাহ নিশ্চিত করবে।’

বিশ্বব্যাংক আরও বলছে, ‘এই অর্থায়ন দেশের জনগণের প্রায় ২০ শতাংশের জন্য গ্লোবাল অ্যাকসেস ফ্যাসিলিটির (কোভ্যাক্স) মাধ্যমে প্রাপ্ত টিকা দেওয়ার ব্যয় বহন করবে। বাকি ১১ শতাংশ মানুষের জন্য এই অর্থায়ন উৎপাদকের কাছ থেকে সরকারি ক্রয় অথবা কোভ্যাক্সের মাধ্যমে পাওয়া টিকার ব্যয়ভার ও টিকা প্রদানের ব্যয় বহন করবে। এর বাইরে সরকার নিজস্ব সম্পদের মাধ্যমে দেশের ৯ শতাংশ লোকের জন্য টিকার ব্যয় বহন করবে।’

এই অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে এই খাতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তার পরিমাণ এখন ৬০ কোটি ডলার।

 

 

 

সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন 

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]