4095

05/05/2024 শৈশবে গ্রামের হাটে যওয়ার স্মৃতি ও কিছু আবদার

শৈশবে গ্রামের হাটে যওয়ার স্মৃতি ও কিছু আবদার

রাজটাইমস ডেস্ক

২২ মার্চ ২০২১ ০৩:১১

৮৭১৯১ টি গ্রাম নিয়ে আমাদের দেশ, প্রিয় বাংলাদেশ। দেশের অধিকাংশ মানুষ আজও গ্রামে বসবাস করে। গ্রামের মানুষের উৎপাদিত চাল ও গম খেয়ে আমরা শহরে জীবন ধারণ করি।
শহরে জীবনে আমরা যারা বসবাস করি, প্রতিদিনের কেনাকাটা পাশের বাজার থেকেই করি। যদিও গ্রামে

এখন তিন গ্রামের মাঝে মাঝে বাজার বসতে দেখা যায় কিন্তু গ্রামের মানুষগুলো এখনো হাট বারের জন্য অপেক্ষা করে। গ্রামের শ্রমিক ও কৃষকরা এখনো হাটে গিয়ে বাজার করে।

আমার জন্ম চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার, শিবগঞ্জ উপজেলার, ৩ নম্বর দাইপুকুরিয়া ইউনিয়নের দানিয়ালগাছি গ্রামে। ছোট বেলায় বাবার হাত ধরে, আবার কখনো ঘাড়ে চেপে হাটে গেছি। বাবা সাধারণত চাইতো না হাটে নিয়ে যেতে। কারণ হলো কিছুদূর হাটার পর আর হাঁটতে চাইতাম না। আর হাট থেকে ফিরে আসার সময় বাড়তি যোগ হতো বড় একটি থলে। দুটো জিনিস বয়ে আনা বাবার জন্য হতো কষ্টকর।
আমি যে হাটটিতে সবচেয়ে বেশি গিয়েছি, সেই হাটের নাম বলে বাগবাড়ির হাট। প্রতি সপ্তাহের সোমবার ও শুক্রবার হাট বসে। আমাদের গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার পশ্চিমে। বাবা হাটে যেতেন আমাদের বাড়ির নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসগুলো একসাথে কেনার জন্য। হাটে গেলে একসাথে সকল পণ্য একই জায়গায় পাওয়া যায়। ভালো-মন্দ দেখে শুনে নেয়া যায়।

বাবা হাটে যেতো প্রয়োজনীয় বাজার করতে, আমি বাবার সাথে যেতাম মজার মজার খাবার খেতে। ছোটবেলা হাটে গিয়েই আবদার ছিল ছানা জিলাপি (একপ্রকার মিষ্টি) ও গমজাম (এক প্রকার মিষ্টি) খাওয়ার। এগুলো খাওয়া শেষ হলে খেতাম পিয়াজি, পুরি এবং বেগুনি।

সময় গড়িয়েছে। শৈশবকাল পেরিয়ে এখন পূর্ণ যৌবনকাল চলছে। বাবার হাটে যাওয়ার পরিবর্তে এখন আমি হাটে যাই। সময় গড়িয়ে গেলেও মনটা আজও শিশু রয়ে গেছে। এখনো হাটে গেলে আগের মতই সবকিছু খাওয়া হয়।
গেল সোমবার শখ করে হাটে গিয়েছিলাম। হাটে গিয়ে ফিরে পাই সেই হারানো শৈশবকাল। চোখে পড়ে ২০ বছর আগে ছেড়ে আসা কিছু স্মৃতি। বাবার সাথে হাটে গিয়ে বায়না ধরা হতো কত কিছুর কিন্তু সকল আবদার কি পূরণ হতো?
না। শেষে বাধ্য করতাম আমার পছন্দের জিনিস কিনে দিতে। ঐ জায়গায় আমি না থাকলেও এখন আছে আমার মতো অন্য অনেক শিশু।
শৈশব, কৈশোর শেষ হয়েছে। যৌবনকাল পেরিয়ে এক সময় বৃদ্ধ হবো। আমিও কারো বাবা হবো কিন্তু ছেলেবেলার সেই স্মৃতিই রয়ে যাবে আজীবন। যা কখেনো ভোলার নয়।

 

 

 

এসকে

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]