4597

04/26/2024 করোনা ভাইরাস: ঢাকায় রোগীর পরিবার বলছে একটা আইসিইউ বেডের জন্য অন্তত ৫০টা হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছেন

করোনা ভাইরাস: ঢাকায় রোগীর পরিবার বলছে একটা আইসিইউ বেডের জন্য অন্তত ৫০টা হাসপাতালে খোঁজ নিয়েছেন

রাজটাইমস ডেক্স

১৬ এপ্রিল ২০২১ ১৬:২৩

করোনাভাইরাস মহামারির ২য় ঢেউয়ে বাংলাদেশে অনেকের জন্যই হাসপাতালে ভর্তি এবং সুচিকিৎসা পেতে এক প্রকার হাহাকার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন রোগীর স্বজনরা।

সংক্রমণ এবং মৃত্যু বেড়ে যাওয়ায় আক্রান্তদের সেবাদানের ক্ষেত্রে মারাত্মক চাপ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্যকর্মীরাও।

সাধারণত রোগী সুস্থ্য হলে অথবা মৃত্যু বরণ করলেই যেহেতু কোনো একটি আইসিইউ বেড খালি হয় তাই রোগী বাড়তে থাকায় আইসিইইউ সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে ।

অবশ্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ১৫ই এপ্রিলের বুলেটিনের তথ্যে বলা হয়েছে সারাদেশে সর্বমোট ৮২৫টি আইসিইউ সজ্জার মধ্যে ৬৫২টিতে রোগী ভর্তি আছে এবং খালি আছে ১৭৩টি আইসিইউ বেড।

যদিও আক্রান্তদের স্বজনরা অনেকেই বলছেন, ঢাকায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগীর জন্য প্রয়োজন হলেই একটা আইসিইউ সজ্জা পাওয়া যে কারো জন্যই কঠিন ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সাধারণ মানুষ বা মধ্যবিত্ত, যারা সরকারি হাসপাতালের আইসিইউ বেড খোঁজেন তাদের জন্য এ সংকট আরো প্রকট বলেই ধারণা পাওয়া যাচ্ছে।

স্বাস্থ্যকর্মী
রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্যকর্মীদেরও সেবা দিতে বেগ পেতে হচ্ছে

ঢাকার ইব্রাহীম মজিদ নামের এক ব্যক্তি জানান, তিন দিন আগে তার মায়ের জন্য একটি আইসিইউ সজ্জা জোগাড় করতে সরকারি বেসরকারি প্রায় ৫০টি হাসপাতালে যোগাযোগ করতে হয়েছে।

পরিবার, বন্ধু-বান্ধবের সহযোগিতায় প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইউ সজ্জার ব্যবস্থা হয়।

বিবিসি বাংলাকে মি. মজিদ বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য এ এক বিরাট সংকট।

"আমার মা কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন কিন্তু অক্সিজেন লেভেল অনেক কমে যাওয়ায় তার আইসিইউ প্রয়োজন হয়। ডাক্তার এসে যখন বলে যে তার আইসিইউ প্রয়োজন কিন্তু ওখানে খালি নেই তখন বিভিন্ন জায়গায় কল দেয়া হয়। সরাসরি কয়েকটি হাসপাতালে গিয়েও খোঁজ করা হয়, কিন্তু সাথে সাথে কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না।" বলেন মি. মজিদ।

বাংলাদেশে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীদের আইসিইউ'র জন্য হাহাকার

ওই সময়ের অসহায়ত্ব তুলে ধরে মি. মজিদ বলেন, তখন পরিবারের সদস্যরা এবং বন্ধুবান্ধবের মাধ্যমে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে ফোন করা হয়।

প্রায় সাত ঘণ্টার চেষ্টায় তারা একটি বেসরকারি হাসপাতালে আইসিইইউ বেড পেয়ে সেখানে তার মা'কে ভর্তি করেন।

"কোথাও ম্যানেজ হয় না, কোথায় পাওয়া যায় না। কিছু জায়গা আছে হ্যা আইসিইউ আছে কিন্তু সেন্ট্রাল অক্সিজেন বা সার্বক্ষণিক পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ব্যবস্থা নেই। পরে অনেক খোঁজাখুজির পর একটা পাই সেখানে ভর্তি করি। পরে কথা বলে জেনেছি অ্যাপ্রক্সিমেটলি ৫০টার মতো হাসপাতালে যোগাযোগ করা হয়েছিল।"

 

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]