5014

03/28/2024 অক্সিজেন না পেয়ে ভারতের এক হাসপাতালেই মৃত্যু ৮৩ জন

অক্সিজেন না পেয়ে ভারতের এক হাসপাতালেই মৃত্যু ৮৩ জন

রাজ টাইমস ডেস্ক

১৬ মে ২০২১ ১৯:১৯

করোনাভাইরাসের প্রথম ধাক্কা অনেকটা সামলে নিতে পারলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাকানিচোবানি খাচ্ছে ভারত। পুরো দেশটি এখন মৃত্যুপুরীতে রূপ নিয়েছে। কোথাও এখন আর নিরাপদ নেই ভারতের। করোনায় সব রাজ্যই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। হাসপাতালে বেড খালি নেই। অক্সিজেনের জন্য হাহাকার। এমনকি মৃত্যুর পর লাশ দাফন বা সৎকার করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে ভারতে। এর জন্য কেন্দ্রীয় সরকারকে দায়ী করছে রাজ্য সরকারগুলো। যদিও নরেন্দ্র মোদির কেন্দ্রীয় সরকার করোনা মহামারীতে লেজেগোবরে অবস্থায় পড়ার জন্য একা দায় নিতে চাচ্ছে না।

জানা গেছে, গোয়া রাজ্যের অবস্থা বেশ নাজুক। রাজ্যের হাসপাতালগুলোতে অক্সিজেনের জন্য হাহাকার চলছে। দীর্ঘ দিন ধরে এই সঙ্কট দেখা গেলেও গোয়া মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে অক্সিজেন সঙ্কট এখনো কাটেনি। অভিযোগ উঠেছে, শনিবারও টানা চার ঘণ্টা অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ ছিল গোয়ার সরকারি হাসপাতালটিতে। রাত ২টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত অক্সিজেনের অভাবে হাসপাতালে আটজন করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গত পাঁচদিনে অক্সিজেনের অভাবে ওই হাসপাতালটিতে মৃত্যু হয়েছে ৮৩ জনের।

যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, অক্সিজেনের ঘাটতির কারণেই যে এ মৃত্যু, তা নিশ্চিত করে বলতে পারবেন না তারা।

গোয়া মেডিক্যাল কলেজেন ডিন বলেন, ‘আমরা নিশ্চিত করে এটা বলতে পারব না যে অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতির জন্যই এই মৃত্যু হয়েছে। তবে এটা ঠিক যে, ওই আটজন রোগী কোভিড নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। যার উপশমে অক্সিজেন সরবরাহের দরকার ছিল।’

তবে হাসপাতাল না জানালেও এক জাতীয় স্তরের সংবাদ সংস্থাকে মৃতদের পরিবার, নার্স ও স্বেচ্ছাসেবীরা জানিয়েছে, সরকারি হাসপাতালটিতে শনিবার রাতভর অক্সিজেন সরবরাহের পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছিল। যার প্রভাব পড়ে ১৩টি ওয়ার্ডে। এর মধ্যে করোনা রোগীদের চিকিৎসার জন্য বরাদ্দ ১৪৩ নম্বর ওয়ার্ডটিতে অক্সিজেন সরবরাহ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল দেড় ঘণ্টার জন্য। পরে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সাহায্য কোনোরকমে পরিস্থিতি সামাল দেয়া হয়। না হলে মৃতের সংখ্যা আরো বাড়ত বলে দাবি হাসপাতাল কর্মীদের।

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]