6784

05/09/2024 রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের চুল কর্তন: একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৪ ছাত্রের চুল কর্তন: একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে শিক্ষার্থীদের তালা

রাজটাইমস ডেস্ক

২৯ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০১:২৭

দুপুর ১২টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের মধ্যে উপস্থিত হন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য আবদুল লতিফ, রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী ও সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান রওশন আলম। সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান রওশন আলম এ সময় শিক্ষার্থীদের বলেন, ‘আপনাদের দাবিদাওয়া লিখিত আকারে জমা দিন। প্রক্টরিয়াল বডি আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থী যে-ই অপরাধী হোক, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ তিনি করোনার সময়ে নিজেদের নিরাপদ রাখতে আন্দোলন প্রত্যাহার করে ঘরে ফিরতে শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

এরপর বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা দুপুরে সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারসহ দুই দফা দাবিসংবলিত একটি লিখিত স্মারকলিপি নিয়ে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল শাহজাদপুর পৌর শহরের কান্দাড়া এলাকায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যালয়ে যান। সেখানে তাদের জানানো হয়, সিনেটে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

লাঞ্ছিত একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, গত রোববার দুপুরে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের পরীক্ষা ছিল। হলে ঢোকার সময় ১৪ ছাত্রের মাথার চুল কাঁচি দিয়ে কেটে দেন ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন। এ সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন একই বিভাগের শিক্ষক রাজিব অধিকারী ও জান্নাতুল ফেরদৌস। পরে এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

এদিকে চুল কেটে দেওয়ায় অপমান সহ্য করতে না পেরে মর্মাহত নাজমুল হাসান (২৫) নামের এক ছাত্র অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরে তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চিকিৎসক বলেছেন, ২৪ ঘণ্টা না গেলে তাঁকে শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না। সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের ওই শিক্ষার্থীর বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া এলাকায়।

এসব বিষয় অস্বীকার করে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বলেন, ‘কয়েক দিন আগে কিছু ছাত্র আমার কাছে এসে পরীক্ষা পিছিয়ে দিতে বলেছিল। আমি এতে রাজি হইনি। হয়তো সেই রাগে এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়েছে। অন্য বিভাগের ছাত্ররা মিথ্যা গুজব ছড়াতে ফেসবুকে এসব দিয়েছে। আমার বিভাগের কোনো ছাত্র দেয়নি।’

শিক্ষার্থীর চিকিৎসার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সোহরাব আলী বলেন, ‘আমরা নাজমুলের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি। তার উন্নত চিকিৎসা চলছে। আশা করি, সে ভালো হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবে।’

রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল লতিফ বলেন, ‘আমরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে উল্লিখিত ঘটনার সুন্দর সমাধানে আশাবাদী। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পরে বিস্তারিত বিষয় জানাতে পারব।’

 

 

 

সুত্র: প্রথম আলো

প্রকাশক ও সম্পাদক : মহিব্বুল আরেফিন
যোগাযোগ: ২৬৮, পূবালী মার্কেট, শিরোইল, ঘোড়ামারা, রাজশাহী-৬০০০
মোবাইল: ০৯৬৩৮ ১৭ ৩৩ ৮১; ০১৭২৮ ২২ ৩৩ ২৮
ইমেইল: [email protected]; [email protected]