ভারতের মোদি সরকারের সঙ্গে শান্তি চুক্তি আলফার, আসাম কি শান্ত হবে?
রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৩৬; আপডেট: ৬ আগস্ট ২০২৫ ১৬:২৭

একসময়ের আসাম এখন অনেকটাই শান্ত। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন নামমাত্র রয়েই গিয়েছে উত্তর পূর্বের এই রাজ্যে। এবার সেই আন্দোলনকারীদের মূল স্রোতে ফেরাতে লোকসভা ভোটের আগে বড় পদক্ষেপ করল ভারতের মোদি ও আসাম সরকার। আলফার আলোচনাপন্থীদের সঙ্গে ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করল আসাম সরকার ও কেন্দ্রীয় সরকার।
শুক্রবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা উপস্থিতিতে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। তবে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠনে অপর একটি শাখা আলফা (স্বাধীন) এই চুক্তির অংশ হয়নি। ফলে সরকার যতই দাবি করুক না কেন এই চুক্তির ফলে আসামে শান্তি স্থায়ী হবে, সেই দাবির যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
আটের দশকের গোড়া থেকেই সার্বভৌম আসামের দাবিতে উত্তপ্ত হয়েছিল উত্তর পূর্বের রাজ্য। পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বে আগুন জ্বলেছিল রাজ্যে। শেষপর্যন্ত ১৯৯০-এ আলফাকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেও চোরাগোপ্তা হামলা চালিয়ে গিয়েছে বিচ্ছিন্নবাদীরা। এদিকে শেষ ১২ বছর ধরে অরবিন্দ রাজখোয়ার নেতৃত্বাধীন আলফা গোষ্ঠীর সঙ্গে নিঃশর্ত আলোচনা চালাচ্ছিল কেন্দ্র। শেষপর্যন্ত তাদের মূল স্রোতে ফেরাতে এদিন ত্রিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হল।
এ চুক্তিকে আসামের নতুন ভোর বলে আখ্যায়িত করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তার দাবি, এই চুক্তির ফলে আসাম-সহ গোটা উত্তর পূর্ব ভারতে শান্তির নয়া অধ্যায় রচিত হল। চুক্তির প্রতিশ্রুতি পালনের জন্য কেন্দ্রের তরফে একটি কমিটি গঠন করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে শাহের দাবি, আলফা ভেঙে যাবে। শাহী আশ্বাসের পরও অনেকগুলো প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
সম্প্রতি জোরহাটের সেনা শিবির চত্বর-সহ আসামের চার জায়গায় বিস্ফোরণ হয়। যার দায় স্বীকার করে পরেশ বড়ুয়ার নেতৃত্বাধীন আলফা (স্বাধীন) শাখা। আবার এই গোষ্ঠী ত্রিপাক্ষিক চুক্তির অংশ হয়নি। সূত্রের দাবি, বর্তমানে মিয়ানমারে রয়েছেন পরেশ বড়ুয়া। লোকসভা ভোটের আগে কি তার নেতৃত্বাধীন গোষ্ঠী আসামে নতুন করে আগুন জ্বালাবে? এই প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: