পিআর পদ্ধতিতে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ, সিদ্ধান্ত ঐকমত্য কমিশনের
রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৩১ জুলাই ২০২৫ ১৮:৩৩; আপডেট: ১ আগস্ট ২০২৫ ২০:৩৯

সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বের (পিআর) পদ্ধতিতে ১০০ আসনের উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিনের সংলাপে দুপুরের বিরতির পরে এ সিদ্ধান্ত জানান কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
দীর্ঘ আলোচনা সত্ত্বেও দলগুলোর মধ্যে ঐক্যমত্য না হওয়ায় এবং ভিন্নমত থাকায়, বিষয়টি কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল। সেই দায়িত্ব পালনের অংশ হিসেবে কমিশন এ সিদ্ধান্ত জানায়।
কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের নিজস্ব কোনো আইন প্রণয়নের ক্ষমতা থাকবে না। তবে, অর্থবিল ব্যতীত অন্য সব বিল নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষ উভয় কক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারবে না। এক মাসের বেশি বিল আটকে রাখলে, সেটিকে উচ্চকক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত বলে গণ্য করা হবে।
নিম্নকক্ষ কর্তৃক প্রস্তাবিত বিলগুলো পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করবে উচ্চকক্ষ এবং নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে তা অনুমোদন অথবা প্রত্যাখ্যান করতে হবে। যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল অনুমোদন করে, তবে উভয় কক্ষে পাস হওয়া বিল রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য পাঠানো হবে।
আর যদি উচ্চকক্ষ কোনো বিল প্রত্যাখ্যান করে, তাহলে তা সংশোধনের সুপারিশসহ নিম্নকক্ষে পুনর্বিবেচনার জন্য পাঠানো হবে। নিম্নকক্ষ সেই সংশোধনগুলো আংশিক বা পূর্ণভাবে গ্রহণ কিংবা প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণার সাথে উচ্চকক্ষের প্রার্থী, যেখানে ১০ শতাংশ নারী থাকার কথা বলা আছে।
বিএনপি, লেবার পার্টি, এনডিএম, ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী জোট পিআর পদ্ধতি হলে উচ্চকক্ষ চান না বলে দুপুরের বিরতির আগে জানানো হয়।
দুপুরে কমিশনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দীন আহমেদ বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি এবং উচ্চকক্ষের দায়িত্ব ও ভূমিকার সাথে ভিন্নমত পোষণ করে বিএনপিসহ কয়েকটি দল ও জোট। এ কথাটা লিখিত থাকলে আমরা সই করতে চাই না।’
দুপুরের আগের আলোচনায় তিনি বলেন, ‘পিআর পদ্ধতি হলে উচ্চকক্ষ চাই না।’
বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক বাস্তবতায় সিপিবি, বাসদ, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম এবং আমজনতার দল উচ্চকক্ষের বিরোধিতা করে।
নাগরিক ঐক্যের পক্ষ থেকে বলা হয়, আইন প্রণয়নের ক্ষমতা না থাকায় উচ্চকক্ষ চান না তারা।
সংবিধান সংশোধন সংক্রান্ত যেকোনো বিল উচ্চকক্ষের সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস করতে হবে। তবে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন উচ্চকক্ষের দুই-তৃতীয়াংশের ভোটে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব করেন।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: