05/05/2025 হিরো আলমকে পর্যন্ত সরকার সহ্য করতে পারে না: মির্জা ফখরুল
রাজ টাইমস ডেস্ক :
১৮ জুলাই ২০২৩ ০৪:১৬
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ঢাকার গুলশানে একটা নির্বাচন হচ্ছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাইভোল্টেজ প্রার্থী হচ্ছেন আরাফাত। আওয়ামী লীগের থিংক ট্যাংকের প্রধান নেতা, প্রফেসর। আরেকজনও প্রার্থী আছেন, তিনি হলেন হিরো আলম।
প্রথমে তাকে বেআইনি ঘোষণা করল। পরে তিনি হাইকোর্ট গিয়ে প্রার্থিতা ফিরিয়ে নিয়ে আসলেন। ওই হিরো আলমকে পর্যন্ত তারা (সরকার) সহ্য করতে পারে না।
সোমবার (১৭ জুলাই) বিকালে খুলনা মহানগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে খুলনা বিভাগীয় তারুণ্যের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, হিরো আলম একটি কেন্দ্রে গিয়েছিলেন। কেন্দ্রে কোনো ভোটার নাই। সব কেন্দ্রই খালি পড়ে আছে। প্রার্থীদের তো কেন্দ্রে যেতে হয়। সেই কেন্দ্রে ভোট দিতে গেছে আওয়ামী লীগের সেই সব বিখ্যাত সন্ত্রাসীরা। যারা আওয়ামী লীগকে পাহারা দেয়, তারা বেচারা হিরো আলমকে তাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু তাড়িয়েই দেয়নি, তাকে বাইরে এসে রাস্তায় মাটিতে ফেলে বেধড়ক পিটিয়েছে। সে এখন হাসপাতালে। আমি এই কথাটি এ জন্য বলছি, যে বাংলাদেশে তারা কী করুণ তামাসার সৃষ্টি করেছে। কী তামাসা গণতন্ত্রকে নিয়ে। আবার এরা চিৎকার করে বলে গণতন্ত্র তাদের কাছেই নাকি নিরাপদ।
তিনি বলেন, শুধু আমাদের দল থেকে নয়, ৩৬ দলের পক্ষ থেকে বলছি, এই অবৈধ সরকারের অধীনে আমরা কোনো নির্বাচনে যাব না। নির্বাচনকালীন সময়ে যদি নিরপেক্ষ সরকার না থাকে তাহলে এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না। নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিতে হবে। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আমাদের কাজ হচ্ছে সারা বাংলাদেশের মানুষকে সংগঠিত করে অবৈধভাবে জোর করে ক্ষমতায় বসে থাকা সরকারকে সরাতে হবে।
এ সরকারকে না সরালে শুধু ভোট নয়, বাংলাদেশের অস্তিত্বই থাকবে না। অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সকলকে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এ মুহূর্তে বাংলাদেশের সামনে সবচেয়ে বড় সংকটকাল। বাংলাদেশের সৃষ্টি হয়েছিল যুদ্ধের মধ্য দিয়ে, তারপর থেকে আজ পর্যন্ত যত সমস্যা তৈরি হয়েছে বাংলাদেশের। এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রকে ধ্বংস করবার, তাকে পরাজিত করবার বাংলাদেশের জাতিকে নিশ্চিহ্ন করবার সেই সব সংকটের চেয়েও আজকের সংকট ভয়াবহ।
ব্যবসায়ী নেতাদের নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গত কয়েক বছরে উচ্ছিষ্টভোগী তোষামোদকারী সৃষ্টি করেছে। তারমধ্যে আবার কয়েকজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতা। কয়েকদিন আগে এফবিসিসিআই’র একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানে এফবিসিসিআই’র প্রধান বললেন, আমরা শেখ হাসিনাকেই প্রধানমন্ত্রী দেখতে চাই। আরেকজন তিনি ঢাকা শহরকে গিলে ফেলেছেন।
তিনি বললেন, এত কাজ জীবনে কেউ কোনো দিন করেনি উনি (প্রধানমন্ত্রী) যা করেছেন। এরা সেই সব ব্যবসায়ী যারা বাংলাদেশের মানুষের রক্ত চুষে নিয়েছে। আজকে সমস্ত রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে তারা তাদের অবৈধ বিত্ত তৈরি করছে।
সমাবেশে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনাকুল ইসলাম শ্রাবণের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এস এম জিলানী, বিএনপির খুলনা বিভাগীয় ভারপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট এস এম শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খানসহ আরও অনেকে।