05/01/2025 সয়াবিনের নতুন দাম কার্যকর হয়নি
রাজ টাইমস ডেস্ক :
৪ মার্চ ২০২৪ ১১:২২
বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের বড় অংশই যেন বেনিয়াবৃত্তিতে নেমেছে। সরকার কোনো পণ্যের দাম বাড়ালে সঙ্গে সঙ্গে বাজারে সে পণ্যের দাম বেড়ে যায়। সরকারের বেধে দেয়া সময়ের আগেই কার্যকর হয় সেই নির্দেশনা। কিন্তু কোনো পণ্যের দাম সরকার কমালে সে পণ্যে দাম কমাতে ধানাইপানাই করা হয়।
বড় ব্যবসায়ী থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা প্রচার করে আগের বেশি দামে পণ্য কেনায় কম দামে বিক্রি করা যাবে না। অসৎ ব্যবসায়ীদের ম্যারপ্যাঁচে পড়ে গেছে সয়াবিন তেল। সরকারের ঘোষণার প্রায় দুই সাপ্তাহ এবং দাম কার্যকরের ৪দিন পরও বাজারে সয়াবিন তেলের দাম কমানো হয়নি। লিটারে ১০ টাকা সয়াবিন তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্তকে ব্যবসায়ীরা থোরাইকেয়ার করছে।
আসন্ন রমজানকে সামনে রেখে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার। ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ ছিল পদক্ষেপগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।
গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা বিষয়ক টাস্কফোর্সেরএক সভায় ভোক্তা পর্যায়ে সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ১ মার্চ থেকে ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৬৩ টাকায়। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হবে ১৪৯ টাকায়।
এছাড়া বোতলজাত ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। বেঁধে দেওয়া দাম কার্যকরের নির্ধারিত তারিখ অতিবাহিত হওয়ার ৪ দিন গেলেও এখনো মন গড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে সয়াবিন তেল।
ভোক্তাদের অভিযোগ, সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও ভোক্তা পর্যায়ে তা বাস্তবায়ন হয় না। ব্যবসায়ীরা নিজের মর্জি মত বিক্রি করলেও সরকারের জোরালো নজরদারির অভাবে বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করেন মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, সয়াবিন তেলের দাম নির্ধারণ করে লাভ নেই। কারণ দাম কার্যকরে সরকারের কোনো পদক্ষেপ নেই। আর দেশের ব্যবসায়ী মহল অসৎ। তারা দাম বাড়লে সঙ্গে সঙ্গে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়; কমলে ধানাইপানাই করে।
সারোয়ার হোসেন নামের এক ভোক্তা বলেন, দাম বাড়ানো আর কমানো এসব নাটক ছাড়া কিছু না। আমাদের কষ্ট আর দুর্দশা তো আছে আগামীতেও থাকবে। আপনি দেখেন কোন তেল আপনি নির্ধারিত দামে পাবেন না। প্রতি কেজিতে অতিরিক্ত দাম আছেই।