রাজশাহীর নগরীর সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুস সবুরকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় দৈনিক নতুন প্রভাতের সাংবাদিক পরিচয় দানকারি কথিত ভূয়া সাংবাদিক মাসুদ আলম গত বুধবার দিবাগত রাতে সাংবাদিক আব্দুস সবুরকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বুধবার রাত ন'টার দিকে সাংবাদিক আব্দুস সবুর ভেসপা বাইকে করে বড় ভাইকে সাথে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় তার গাড়ির গতি রোধ করে কথিত সাংবাদিক পরিচয়দানকারী মাসুদ। তিনি রাস্তায় ঝগড়ায় লিপ্ত হয়ে চরম ঔধত্বপূর্ণ আচরণ করে। এ সময় সে সাংবাদিক আব্দুস সবুরকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করা হয়। তার এ ঔধত্বপূর্ণ আচরণের নিজ মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তুলতে গেলে কয়েক দফা সে মোবাইল কেড়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এসময় স্থানীয় লোকজন এসে ভাইসহ সাংবাদিক সবুরকে উদ্ধার করে বাড়িতে পাঠান।
এ বিষয়ে সাংবাদিক আব্দুস সবুর জানান, আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ অনেক পুরোনো। বোয়লিয়া থানার ওসি আবুল কালাম আজাদের হস্তক্ষেপে গত ১ অক্টোবর বিষয়টি নিষ্পত্তি হয়। ওসি, আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি অথবা ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন- ২০২৩ এর মাধ্যমে নিষ্পিত্তির নির্দেশ প্রদান করেন। অথচ মাসুদ আলম আইনের তোয়াক্কা না করে শক্তির জোরে জায়গা দখল করতে চায়।
উল্লেখ্য অভিযুক্ত মাসুদ নগরীর ১০নং ওয়ার্ডের হাতেমখা এলাকার বাসিন্সাদা। এ বিষয়ে দৈনিক নতুন প্রভাতের সম্পাদক সোহেল মাহাবুব গণমাধ্যমকে বলেন, মাসুদ আলম দৈনিক নতুন প্রভাতে অনেক আগে পেস্টিংয়ে কাজ করতো। এখন নতুন প্রভাতের সাথে তার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। তার কোন অপকর্মের দায় নতুন প্রভাত নেবে না।
এঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে রাজশাহী সুফি ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দ। আজ শনিবার এক বিবৃতিতে রাজশাহী সুফি ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব শাহ্ সুফি মহিব্বুল আরেফিন বলেন, এ ধরণের ঘটনা চরম উদ্বেগ পূর্ণ। নগরীর সিনিয়র সাংবাদিক ও সিনিয়র সিটিজেন আব্দুস সবুরকে মাঝ রাস্তায় হেনস্থা করা মানে আইনের প্রতি চরম অবজ্ঞা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের নামান্তর মাত্র। কোন বিষয়ে বিরোধ থাকলে তা আইন-আদালতের মাধ্যমে সুরাহা করতে হবে। আমরা এধরণের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।