নদী ভাঙনের কবলে শিবগঞ্জ: বিলীনের পথে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান-ঘরবাড়ি

চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি | প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০২১ ০৪:০৮; আপডেট: ৩ আগস্ট ২০২১ ০৪:১৪

ছবি-প্রতিনিধি
চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা-মহানন্দা নদীর পানি দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এর ফলে নদী ভাঙ্গনও অব্যাহত রয়েছে জেলার বিভিন্ন উপজেলায়। 
 
এরইমধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিবগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী তারাপুর, রামনাথপুর, মনোহরপুর, নামোজগন্নাথপুর, আইউব বিস্বাস পাড়া দোভাগী, বোগলাউড়িসহ কয়েকটি পয়েন্টে প্রায় ৭ কিলোমিটার এলাকা ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে। কিছুদিন থেকে যা বেড়েই চলেছে। 
 
স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত ৩ বছরে প্রায় ৮ কিলোমিটার নদীর পাড় ভেঙ্গেছে এই এলাকায়। এখানে এখন বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হুমকির মুখে। প্রায় ৫০০ গজের মধ্যে চলে এসেছে নদী। বর্তমানে নদী ভাঙ্গনের ফলে প্রায় ৬টি প্রতিষ্ঠান নদীর ঠিক প্রায় ৫০০ মিটার দূরে অবস্থান করছে। ভাঙন অব্যাহত থাকলে বা জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে সবই নদীতে বিলীন হয়ে যাবে। 
 
চর জগনাথপুর কারিগরি দাখিল মাদ্রাসা, বাদশা পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরহোসানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাবুপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ শতশত বাড়িঘর আছে এলাকাটিতে।
 
এ বিষয়ে দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজিব এ প্রতিবেদককে জানান, দুর্লভপুর ইউনিয়নসহ আশপাশের পদ্মা নদীতে বেশ কয়েক বছর ধরেই ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। এ বিষয়ে আমি পরিষদ চেয়ারম্যান, পানি উন্নয়ন বোর্ড, এমনকি বিভাগীয় পর্যায়েও দরখাস্ত দিয়েছি। নদী ভাঙ্গন ঠেকাতে ও স্থায়ীভাবে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানিয়েছি।
 
তিনি আরও বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা একবার এসে মাফজোক করে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন কাজ বা নদী ভাঙন ঠেকাতে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করতে দেখা যায়নি। 
 
দূর্লভপুর গ্রামের নাজমুল হাসান নামের স্থানীয় বাসিন্দা জানান, আমাদের এলাকায় নদী ভাঙন ভয়াভহ রুপ ধারণ করেছে। বিগতদিনে চরজগন্নাথপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, জগন্নাথপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়, চরহাসানপুর উচ্চ বিদ্যালয়সহ বহু বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। এখনই নদী ভাঙন ঠেকাতে না পারলে বিলীন হয়ে যাবে গ্রাম। 
 
এ বিষয়ে রোববার মুঠোফোনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করা হলে, নদী ভাঙন বিষয়ে বিস্তারিত জেনে জানাবেন বলে জানানো হয়।
 
অন্যদিকে, সদর উপজেলার দেবীনগর ইউনিয়নের তরফা ঘাট এলাকায় মহানন্দা নদীতে নতুন করে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। যা এরই মধ্যে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। সে এলাকায় ভাঙ্গনের ফলে হুমকির মুখে ২২৬ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত আলাতুলি এলাকার রক্ষা প্রকল্প বাঁধ এর শেষ অংশ। 
 
পদ্মা-মহানন্দা নদীর ভাঙন ঠেকাতে এখন প্রয়োজন ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে সঠিক স্থানে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা। এ ছাড়া ভাঙন ঠেকানো সম্ভব নয়। এলাকাবাসী ভুক্তভোগীসহ সকলের এখন একটাই দাবি, অতি দ্রুত নদী ভাঙন ঠেকাতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক।
 
 
 
এসকে



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top