যেভাবে নামাজ পড়লে আল্লাহ ক্ষমা করেন

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২২ ০২:০৯; আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ১৩:৩১

 

মুমিন জীবনের অন্যতম প্রত্যাশা আল্লাহ তায়ালার সন্তুষ্টি অর্জন ও ক্ষমাপ্রার্থনা। আল্লাহ তায়ালা যাকে ক্ষমা করবেন সেই প্রকৃত সফল, পরকালে তার কোনও ভয় থাকবে না। মুমিন যেসব ইবাদতের মাধ্যমে রবের সামনে নিজেকে সঁপে দেয় এবং ক্ষমা লাভের আশা করে এর একটি নামাজ।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘অবশ্যই সফলকাম হয়েছে মুমিনগণ—যারা নিজেদের নামাজে বিনয়ী ও নম্র, যারা অসার ক্রিয়াকলাপ হতে বিরত থাকে, যারা জাকাত প্রদানে সক্রিয়, যারা নিজেদের সম্ভ্রম সুরক্ষা করে।’ ‘এবং যারা নিজেদের আমানত ও প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে এবং যারা নিজেদের সালাতে যত্নবান থাকে, তারাই অধিকারী হবে (জান্নাত) ফিরদাউসের, যাতে তারা স্থায়ী হবে।’-(সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ১-১১)

আয়াতে সফল মুমিনের গুণ বলা হয়েছে যারা নামাজে বিনয়ী। আলী রা. বলেন, খুশূ বা বিনয় হচ্ছে, ডানে বা বাঁয়ে না তাকানো। অর্থাৎ জেনে বুঝে সঙ্গে অসংশ্লিষ্ট ও অবান্তর কথা চিন্তা করা থেকে দূরে থাকা। তবে অনিচ্ছাকৃত চিন্তা-ভাবনা মনের মধ্যে আসা ও আসতে থাকা মানুষের একটি স্বভাবগত দুর্বলতা। কিন্তু মানুষের পুর্ণপ্রচেষ্টা থাকতে হবে নামাজের সময় তার মন যেন আল্লাহর প্রতি আকৃষ্ট থাকে এবং যদি অনিচ্ছাকৃতভাবে অন্য চিন্তাভাবনা এসে যায় তাহলে যখনই মানুষের মধ্যে এর অনুভূতি সজাগ হবে তখনই তার মনোযোগ সেদিক থেকে সরিয়ে নিয়ে পুনরায় নামাজের সঙ্গে সংযুক্ত করতে হবে।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নামাজের সময় আল্লাহ তায়ালা বান্দার প্রতি সৰ্বক্ষণ দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখেন যতক্ষণ না সে অন্য কোন দিকে দৃষ্টি না দেয়। তারপর যখন সে অন্য কোনও দিকে মনোনিবেশ করে, তখন আল্লাহ্ তায়ালা তার দিকে থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেন। -(ইবনে মাজাহ, ১০২৩)

হজরত উবায়দা বিন সামেত রা. বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘আল্লাহ তায়ালা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। যে ব্যক্তি সময় অনুযায়ী উত্তমরূপে অজু করে, রুকু-সিজদা পূর্ণ করে, পূর্ণ মনোযোগসহ নামাজ আদায় করবে, তার জন্য আল্লাহর ওয়াদা- তিনি তাকে ক্ষমা করে দেবেন। যে তা করবে না, তার প্রতি আল্লাহর কোনও দায়িত্ব নেই। ইচ্ছা করলে তাকে ক্ষমা করতে পারেন আবার না-ও পারেন।’ -(সুনানে আবু দাউদ, ২৩৬)

আরেক হাদিসে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কারও বাড়ির সামনে যদি একটি প্রবহমান নদী থাকে এবং প্রতিদিন পাঁচবার তাতে গোসল করে, তাহলে তার শরীরে কোনো ময়লা থাকতে পারে কি? সাহাবাগণ বললেন, না। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, এটাই হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের উদাহরণ। এর সাহায্যেই আল্লাহ তার যাবতীয় গোনাহ দূর করে দেন।’ –(বুখারী ৫২৮, মুসলিম ৬৬৭, নাসায়ী ৪৬২, তিরমিজি, ২৮৬৮)



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top