বাঘায় ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ পালিত

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৭ মার্চ ২০২১ ২২:৪৩; আপডেট: ২৬ জুন ২০২৫ ০৮:৩৭

বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন।

সাইদুল ইসলাম, বাঘা

স্বাধীনতার রজত জয়ন্তী উপলক্ষে রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় পালিত হল বিশ্ব ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত ঐতিহাসিক ৭ মার্চ।

দিবস উদযাপনে রবিবার (০৭ মার্চ) দিনব্যাপী নানা কর্মসূচী গ্রহন করেন বাঘা উপজেলা প্রশাসন। পাশাপাশি কর্মসূচী পালন করে বাঘা উপজেলা আওয়ামীলীগসহ বিভিন্ন সংগঠন ও অঙ্গসংগঠন।

উপজেলা আওয়ামী লীগ দিনের কর্মসূচী শুরু করে সকাল ৮ টায় দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে। পরে উপজেলা বটমুল চত্বর ও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মাঝে জাতীর পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তারা। পরবর্তীতে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করা হয়।

দিবস উদযাপনে সকাল ৯ টায় উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে জাতীর পিতার প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা অর্পণ করা হয়। এ সময় ফুল দেন উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড, বাঘা থানা পুলিশ প্রশাসন, শিক্ষক মন্ডলী, বাঘা প্রেসক্লাব ও বিভিন্ন সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

পরে বটমূল চত্বরের মঞ্চে বাঘা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা  পাপিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, বাঘা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও রাজশাহী জেলা আ’লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এড: লায়েব উদ্দিন লাভলু।

জেলা আ’লীগের সদস্য ও বাঘা পৌর সভার সাবেক মেয়র আক্কাছ আলী, উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম বাবুল, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক অধ্যাক্ষ নছিম উদ্দিন,  বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক ও আজিজুল আলম, বাঘা থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্য দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। তাঁর এ ভাষণ ছিল মুক্তিযুদ্ধের সনদ এবং জাতিকে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকার চূড়ান্ত নির্দেশনা।

তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে লাখ-লাখ জনতার উত্তাল সমুদ্রে দাঁড়িয়ে বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তাঁর ভাষণে শতাব্দির পর শতাব্দি ধরে পরাধীন জাতিকে স্বাধীনতার জন্য মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়তে উদ্বুদ্ধ করেন। মাত্র ১৮ মিনিটের এ ভাষণে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত থাকতে সাড়ে সাত কোটি বাঙালিকে দিক নির্দেশনা দেন তিনি। তার ওই ভাষণের মধ্য দিয়েই স্পষ্ট হয়ে উঠে স্বাধীনতার ঘোষণা এবং মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহণের সবদিক নির্দেশনা।

বক্তারা আরো বলেন, আজকে আনন্দের সাথে বলতে হয়, বিশ্বের ইতিহাসে যে ৭ টি ভাষন সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে তার মধ্যে বঙ্গবন্ধুর ভাষন অন্যতম। এ ভাষন ইতোমধ্যে ১২ টি ভাষায় বিশ্লেষন করা হয়েছে। এ জন্য এই দিনটিকে জাতীয় দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দিয়েছেন বর্তমান সরকার। 

  • এসএইচ


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top