প্রকৌশল পেশায় সমতা নিশ্চিত করতে রুয়েট-আইইবি যৌথ সভা অনুষ্ঠিত

রুয়েট প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ২২ জুলাই ২০২৫ ১৫:৫৪; আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৫ ০১:৪৭

- ছবি - ইন্টারনেট

প্রকৌশল পেশায় শিক্ষাগত যোগ্যতার ভিত্তিতে ন্যায্য সুযোগ নিশ্চিত করতে রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (রুয়েট) ও ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (IEB)-এর যৌথ উদ্যোগে একটি গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২১ জুলাই (রবিবার) রুয়েট ক্যাম্পাসে আয়োজিত এ সভায় অংশ নেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. আব্দুর রাজ্জাক, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম সরকার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. এইচ. এম. রাসেল, আইসিটি সেলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সামিউল হাবিব, সিএমই বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. মো. বদিউল ইসলামসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তারা।

সভায় প্রকৌশল পেশায় ডিপ্লোমাধারীদের জন্য অতিরিক্ত কোটা, অগ্রাধিকার এবং নিয়োগে বিদ্যমান বৈষম্য নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। রুয়েটের ইইই বিভাগের শিক্ষার্থী সাকিবুল হক লিপু প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে তিন দফা দাবি তুলে ধরেন।

রুয়েট উপাচার্য বলেন, “যোগ্যতার ভিত্তিতে সুযোগ না দেওয়া অন্যায্য। কোনও অনৈতিক পন্থায় নিম্নতর যোগ্যতাকে উচ্চতর হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। প্রকৃত মেধাবীদের প্রাপ্য মর্যাদা ও সুযোগ নিশ্চিত করতে হবে।”

ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. রবিউল ইসলাম সরকার বলেন,
“রুয়েট শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো পুরোপুরি যৌক্তিক। দীর্ঘদিন ধরে কিছু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কৃত্রিম জটিলতা তৈরি করে বৈষম্য বজায় রাখা হয়েছে। দ্রুত এসব সমস্যার সমাধান প্রয়োজন।”

শিক্ষার্থী প্রতিনিধি সাকিবুল হক লিপু বলেন, “আমাদের আন্দোলন আবেগের নয়, বাস্তবতা ও ন্যায়ের ভিত্তিতে। এখনই সময় সিদ্ধান্ত নেওয়ার, নয়তো ভবিষ্যতে আরও জটিলতা বাড়বে।”

সভায় উপস্থিত IEB প্রতিনিধিরা রুয়েট প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন। তারা জানান,

  • নবম গ্রেডে অযৌক্তিক অতিরিক্ত কোটা দিয়ে নিয়োগের বিষয়টি পুনর্বিবেচনার উদ্যোগ নেওয়া হবে
  •  যেখানে ৩৩%-এর বেশি কোটা অনৈতিকভাবে প্রয়োগ হয়েছে, তা বাতিলে সরকারি পর্যায়ে সক্রিয় আলোচনা চলবে
    যোগ্যতা ও মেধাভিত্তিক প্রকৌশল সমাজ গঠনে সরকারকে যুক্ত করে কার্যকর সমাধান প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে

IEB প্রতিনিধি দলে ছিলেন প্রকৌশলী নিয়াজ উদ্দিন ভূঁইয়া, প্রকৌশলী খান মনজুর মোরশেদ, অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মো. সাব্বির মোস্তফা খান, প্রকৌশলী মুহাম্মদ আহসানুল রাসেল, প্রকৌশলী সাব্বির আহমেদ ওসমানী প্রমুখ।

সভা শেষে দুই পক্ষই আশাবাদ ব্যক্ত করেন— প্রকৌশল পেশার মর্যাদা ও ন্যায্যতার প্রশ্নে অচিরেই একটি গঠনমূলক সমাধানে উপনীত হওয়া সম্ভব।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top