জুলাই অভ্যুত্থানে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে
ইবি প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২৫ ২১:১২; আপডেট: ৫ আগস্ট ২০২৫ ০১:১৯

বৈষম্যে বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের পর আমরা আশঙ্কা করছি, জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী ও অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। প্রশাসন যেন জুলাই অভ্যুত্থানের অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।
যদি প্রশাসন দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের উচিত হবে পদত্যাগ করা।সাজিদের হত্যাকাণ্ড আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে আমরা কেউই নিরাপদ নই। তার পরিণতি যে কারও হতে পারে। তাই আমাদের সংগ্রাম চলবে যতদিন পর্যন্ত না খুনিদের শনাক্ত ও শাস্তি নিশ্চিত হয়, মাস্টারমাইন্ড কারা সেটি প্রকাশ হয়, তদন্তের সব অগ্রগতি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৬ হাজার শিক্ষার্থীর সামনে উন্মুক্ত হয়।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ হত্যায় জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
সোমবার ( ৪ আগষ্ট ) ১১ টায় ক্যাম্পাসের বটতলা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি ।
তিনি আরো বলেন, প্রশাসনের একটি অংশ চায় বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হয়ে যাক। কিন্তু আমাদের বুঝতে হবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ হলে লাভ কার? এতে প্রশাসন আরও সময় পাবে অথচ ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিক্ষার্থীদের ভবিষ্যৎ। তাই আন্দোলনকে কেউ যেন ভিন্নখাতে প্রবাহিত না করতে পারে , সে বিষয়ে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।আমরা জানতে পেরেছি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাজিদ হত্যার তদন্তের দায়িত্ব পিবিআইকে (PBI) হস্তান্তর করবে। তদন্ত শুরু হওয়ার পর পিবিআইকে নির্দিষ্ট সময় পরপর অগ্রগতির একটি রোডম্যাপ শিক্ষার্থীদের সামনে তুলে ধরতে হবে।
এছাড়াও তিনি আরো বলেন, আমরা প্রশাসনের কাছে জানতে চাই, সাজিদ হত্যার পর শিক্ষার্থীরা যে দাবি তুলে ধরেছিল, সেগুলোর কতটুকু বাস্তবায়ন হয়েছে তা পরিষ্কারভাবে জানাতে হবে।
শুধু ক্যাম্পাস নয়, ক্যাম্পাসসংলগ্ন শেখপাড়া, কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ থাকা শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয় একজন শিক্ষার্থীকে গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে তার দায়িত্বও গ্রহণ করে। সেই দায়িত্ব পালনে প্রশাসন ব্যর্থ হলে তার দায়-দায়িত্বও তাদেরই নিতে হবে।
আমাদের সংগ্রাম কেবল শুরু হয়েছে। বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই চালিয়ে যাব।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘তুমি কে আমি কে, সাজিদ সাজিদ’, ‘আমার ভাই কবরে, খুনি কেন বাহিরে’, ‘আমার ভাই মরলো কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেত দিবো না’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘খুন কেন আমার ভাই, খুনিদের রক্ষা নাই’, ‘রশি লাগলে রশি নে, খুনিদের ফাঁসি দে’সহ, ‘প্রশাসনের টালবাহানা , মানি না মানবো না’, ‘খুনিদের কালো হাত, ভেঙে দাও ঘুডিয়ে দাও’, ‘প্রহসনের বিরুদ্ধে,ডাইরেক্ট অ্যাকশন’ জাস্টিস জাস্টিস, ওই ওয়ান্ট জাস্টিস’ বিভিন্ন স্লোগান দেয়।
প্রতিবাদ সমাবেশে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, শাখা শিবিরের সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাবেক সমন্বয়ক এস. এম সুইট,সাবেক সহ সমন্বয়ক তানভীর আহম্মেদ মন্ডল , গোলাম রব্বানী, ইয়াসিরুল কবির সৌরভসহ প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: