বন্যাবিধ্বস্ত সিকিমে ৩৮ মৃত্যু, নিখোঁজ অনেকে, ভেসে আসছে লাশ

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ৬ অক্টোবর ২০২৩ ১৮:০১; আপডেট: ১৩ আগস্ট ২০২৫ ১২:২৮

বিপর্যস্ত সিকিম - ছবি : হিন্দুস্তান টাইমস

তিস্তার পানি যত নেমে এসেছে তত লাশ ভেসে উঠেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায়। গজলডোবা, ময়নাগুড়ি, কোটওয়ালি, কুচলিবাড়ি, হলদিবাড়ি ও মিলনপল্লি এলাকা থেকে একাধিক লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

আবার বাংলাদেশের ভেতরেও কিছু লাশ ভেসে ওঠেছে। এ বিপর্যয়ে লাচেন ও লাচুংয়ে প্রায় ৩ হাজার লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

সিকিমে বেড়াতে না পেরে আতঙ্ক নিয়ে বাড়ি ফিরলেন বহু পর্যটক। কলকাতাসহ রাজ্যের নানা প্রান্ত থেকে অনেক পর্যটকই উত্তর সিকিমের সেই দুর্ঘটনাস্থল থেকে আগে ঘুরে এসেছেন। অনেকের এবার যাওয়ার কথা ছিল। আবার অনেকে গিয়ে এখন নিখোঁজ। ঝাড়গ্রামের একই পরিবারের পাঁচ সদস্য এখনো নিখোঁজ। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা নিয়ে কেউ আবার ফিরে এসেছেন।

তিস্তার ভয়াল রূপ আর পাহাড়ের যে ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি দেখা গেছে তা সহজে ভোলার নয়। আর এই মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং প্রকৃতির ভয়াবহতায় এখন পর্যন্ত সিকিমের ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং নিখোঁজ রয়েছে ৭৮ জন।

এদিকে, বিপর্যস্ত সিকিমে সময় যত গড়াচ্ছে, ততই স্পষ্ট হচ্ছে ধ্বংসের ছবি। চারদিকে শুধুই হাহাকার। বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বাড়ছে আতঙ্ক। ২৪ ঘণ্টা পরেও নামছে ধস। আর তার জেরে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে একের পর এক রাস্তা। চরম প্রতিকূল পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং বিপর্যয় মোকাবেলা বাহিনী খরস্রোতা তিস্তায় উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সেনাবাহিনীর ক্যাম্প ভেসে গিয়ে নিখোঁজ হন ২৩ জন জওয়ান।

সিকিম প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মেঘভাঙা বৃষ্টি হয় উত্তর সিকিমের লোনক হ্রদের উপর। তার জেরে ফেটে যায় লেক। হুড়মুড়িয়ে পানি নেমে আসে তিস্তায়। তখন থেকেই চলে ধ্বংসযজ্ঞ। বিপর্যয়ে মৃত্যু হয়েছে বেশ কয়েকজনের।

সিকিমের মুখ্যসচিব বিজয় ভূষণ পাঠক বলেন, ‘‌৭০০ থেকে ৮০০ গাড়িচালক আটকে রয়েছেন। ৩ হাজার ১৫০ জন মোটরসাইকেল আরোহীও আটকে আছেন বিপর্যস্ত এলাকায়। সেনা ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে সবাইকে সরিয়ে নেয়ার চেষ্টা চলছে।

সমতল থেকে সিকিমে যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক পানির তোড়ে ভেঙে গেছে। তাই এখন যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। তবে আলগাড়া-পেদং-লাভা-গরুবাথান হয়ে সমতলে আসা যাচ্ছে। সিকিম পুলিশের ডিআইজি তাশি ওয়াঙ্গেল বলেন, ‘‌১০ নম্বর জাতীয় সড়কের মেতামতের কাজ চলছে। মাল্লি, বুরদাং, লিকুভিড়, শ্বেতীঝোড়ায় কাজ চলছে।’‌ পূর্ব সিকিমের হেল্প লাইন নম্বর ৮৭৫৬৯–৯১৮৯৫ এবং উত্তর সিকিমের হেল্প লাইন নম্বর ৮৭৫০৮–৮৭৭৪১।

জাতীয় সড়ক সেভক দিয়ে সিকিমে যাওয়া ছাড়াও গ্যাংটক পৌঁছানোর আরো দু’টি বিকল্প পথ আছে। একটা বাগরাকোট, চুনাভাটি, লোলেগাঁও, লাভা, পেদং হয়ে রংপো রুট ধরে সিকিম। তবে ওই রাস্তাটি এখন বেহাল। অপর রাস্তাটি হলো- আলগাড়া, পেদং, লাভা, গরুবাথান, ডামডিম হয়ে শিলিগুড়ি। এই রাস্তা দিয়েই পর্যটকদের পাহাড় থেকে নামিয়ে আনা হচ্ছে।

সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top