সেপ্টেম্বরে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে ফ্রান্স
রাজ টাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ২৫ জুলাই ২০২৫ ১১:২১; আপডেট: ২৬ জুলাই ২০২৫ ০৯:২২

ফরাসি প্রেসেডেন্ট প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ জানিয়েছেন, ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে তার দেশ। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেওয়া পোস্টে ম্যাক্রোঁ জানান, আগামী সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে এই সিদ্ধান্তের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন তিনি। খবর আল জাজিরার।
এক্স পোস্টে তিনি লিখেন, ‘এই মুহূর্তে সবচেয়ে জরুরি হলো গাজায় যুদ্ধের অবসান ও সাধারণ মানুষের জীবন রক্ষা। শান্তি সম্ভব, আমাদের এই মুহূর্তেই একটি যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন, সব বন্দীর মুক্তি এবং গাজাবাসীর জন্য ব্যাপক মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করতে হবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য নরওয়ে, আয়ারল্যান্ড এবং স্পেনও একই প্রক্রিয়া শুরু করার ইঙ্গিত দিয়েছে। এই পদক্ষেপের ফলে ফ্রান্স ইউরোপের বৃহত্তম এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী দেশ হিসেবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে।
হামাসকে নিরস্ত্রীকরণ করতে হবে জানিয়ে ফরাসি প্রেসিডেন্ট আরো লিখেন, ‘গাজাকে সুরক্ষিত ও পুনর্নির্মাণ করতে হবে। আমাদের ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠন এবং তার টিকে থাকার পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। এসব করতে হলে ফিলিস্তিনকে নিরস্ত্রীকরণে সম্মত হতে হবে।’
ইসরাইলকে সম্পূর্ণরূপে স্বীকৃতি দেয়ার বিষয়েও দৃঢ় বার্তা দেন তিনি। বলেন, ইসরায়েলকে সম্পূর্ণরূপে স্বীকৃতি দেয়ার মাধ্যমে এটিকে সক্ষম করতে হবে। ফ্রান্সের নাগরিকেরা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি চায়। ফরাসি, ইসরায়েলি, ফিলিস্তিনি, ইউরোপীয় ও আন্তর্জাতিক অংশীদার— সবার প্রমাণ করা দরকার যে—শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব।
প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এ বিষয়ে নিজের দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কথা ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্টকে মাহমুদ আব্বাস জানিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন ম্যাক্রোঁ। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে চিঠি দিয়ে আমার প্রতিশ্রুতি জানিয়েছি। এখন আমাদের বিশ্বাস, স্বচ্ছতা ও অঙ্গীকার দরকার।’
জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে কমপক্ষে ১৪২টি দেশ বর্তমানে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছে অথবা স্বীকৃতি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। তবে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী পশ্চিমা দেশ স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং জার্মানি।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: