পবায় ইউএনওর হস্তক্ষেপে চালু হলো অস্থায়ী যোগাযোগ

পবা প্রতিনিধি: | প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০২৫ ২১:৩৫; আপডেট: ৩ জুলাই ২০২৫ ১১:০৯

ছবি: সংগৃহীত

ঠিকাদারের অবহেলায় রাজশাহীর পবা উপজেলায় নির্মাণকাজ চলার মধ্যেই ভারী বর্ষণে একটি সড়কের একাংশ ধসে পড়েছে।

উপজেলার নওহাটা পৌরসভার পাকুড়িয়া এলাকায় দুটি পুকুরের মাঝ দিয়ে যাওয়া সড়কটি ধসে পড়ায় পাকুড়িয়া উত্তর ও দক্ষিণ পাড়া গ্রামের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েন হাজারো গ্রামবাসী।

খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও পৌর প্রশাসক আরাফাত আমান আজিজ মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তাঁর হস্তক্ষেপে বালু ও মাটি ফেলে অস্থায়ীভাবে সড়কটি চালু করায় এলাকাবাসীর মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে।

জানা গেছে, নওহাটা পৌরসভার অধীনে ২০কোটি টাকার প্রকল্পের আওতায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স জুয়েল ইলেক্ট্রোনিক্স এন্ড জেভি ওয়াশিমুল হক’ ১০টি সড়ক নির্মাণ করছে। ধসে পড়া সড়কটি দুয়ারী প্রাইমারি স্কুল থেকে পাকুরিয়া প্রাইমারি স্কুল পর্যন্ত সাড়ে তিন কিলোমিটার দীর্ঘ চলমান কার্পেটিং কাজের অংশ।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, সড়কটির দুই পাশে পুকুর থাকলেও ঠিকাদার সময়মতো সুরক্ষা দেয়াল (প্রোটেকশন ওয়াল) নির্মাণ করেননি। ফলে কয়েক দিনের টানা বর্ষণে মাটি নরম হয়ে সড়কের একটি অংশ ধসে গেছে। এতে দুটি গ্রামের সরাসরি যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেলে গ্রামবাসীকে বিকল্প পথে অনেকটা পথ ঘুরে যাতায়াত করতে হচ্ছিলো।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী ওয়াশিমুল হক বলেন, “ভারী বর্ষণের কারণে মাটি নরম হয়ে সড়কটি ধসে গেছে। পৌর প্রশাসকের নির্দেশে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে বালু ও মাটি ফেলে মানুষের চলাচলের ব্যবস্থা করেছি। ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি আমরা নিজ খরচেই পুনরায় নির্মাণ করে দেবো।”

নওহাটা পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শিব্বির আহমেদ আজমী জানান, “ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি দ্রুত মেরামতের জন্য ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর জন্য পৌরসভা থেকে নতুন কোনো অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হবে না। সুরক্ষা দেয়ালের কাজ শেষ হলেই সড়কটির কার্পেটিং সম্পন্ন করা হবে।”



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top