বাংলাদেশকে পাহাড়সম লক্ষ্য দিল আয়ারল্যান্ড

রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ১৩ মে ২০২৩ ০৪:১৭; আপডেট: ৭ আগস্ট ২০২৫ ১২:১৫

ছবি: সংগৃহীত

শুরুতেই বৃষ্টির বাধায় দুই দলের ইনিংস দাঁড়ায় ৪৫ ওভার করে। তার মাঝে ১১ ওভার শেষে আইরিশদের রান যখন মোটে ৩০, আর হারিয়ে ফেলেছে ২ উইকেট; সেখান থেকে কে ভেবেছিল এই সংগ্রহটাও ৩০০ পেরিয়ে যাবে।

না ভাবলেও এমনটাই হয়েছে, হ্যারি টেক্টরের বিধ্বংসী শতক আর জর্জে ডকরেলের ঝড়ো ইনিংসে বাংলাদেশকে ৩২০ রানের বিশাল লক্ষ্য দিয়েছে আয়ারল্যান্ড।

এই দিন টসে হেরে ব্যাট করতে নামা আয়ারল্যান্ডকে শুরুতেই চেপে ধরেছিল টাইগার বোলাররা। মাত্র ১৬ রানেই তুলে নেয় ২ উইকেট। দুটো উইকেটই যায় হাসান মাহমুদের ঝুলিতে। প্রথম ওভারেই দলীয় ১ রানে পল স্টার্লিংয়ের স্ট্যাম্প ভাঙেন হাসান মাহমুদ। কোনো রান আসেনি তার ব্যাটে।

পরের পাঁচ ওভারে আরো ১৫ রান যোগ করলে সপ্তম ওভারে ফের আঘাত হাসানের। দ্বিতীয় শিকার আরেক ওপেনার স্টিফেন ডুহানি। ২১ বলে ১২ রান করা ডুহানিকে মিরাজের ক্যাচ বানান তিনি। এরপরেই দলের হাল ধরেন এন্ড্রি বালবির্নি ও হ্যারি টেক্টর। প্রথমে ধীরে শুরু করলেও এরপর দ্রুত গতিতে রান বাড়াতে থাকেন দুজনে।

দুজনেই ধীরে ধীরে সমৃদ্ধ করতে থাকেন নিজেদের ইনিংস। ফলে শুরুর চাপ সামলে উঠে আয়ারল্যান্ড। ২০তম ওভারে এসে তাইজুল ইসলামকে ৩ ছক্কা হাঁকিয়ে ফিফটি তুলে নেন হ্যারি টেক্টর। পরের ওভারেই দলীয় সংগ্রহ ৩ অংক স্পর্শ করে। অর্থাৎ ১২-২১; এই ১০ ওভারে ৭০ রান যোগ হয় আয়ারল্যান্ডের স্কোরবোর্ডে।

দু'জনের এই জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম। ফেরান আইরিশ অধিনায়ক এন্ড্রি বালবির্নিকে। ৫৭ বলে ৪২ রান আসে তার ব্যাটে। আউট হবার আগে হ্যারি টেক্টরের সাথে গড়ে তুলেছিলেন মাত্র ১০৪ বলে ৯৮ রানের জুটি। এরপর লরকান টাকার ১৬ ও কার্টিস ক্যাম্ফার ৮ রান করে ফিরলেও গর্জে উঠেন জর্জে ডকরেল। এরই মাঝে ৯৩ বলে শতক তুলে নেন হ্যারি টেক্টর। ৩১ ম্যাচের ক্যারিয়ারে যা তার চতুর্থ শতক।

এই জুটির কোনো জবাব ছিল না বাংলাদেশের কাছে। সাকিব থেকে শুরু করে এবাদত, কেউ ভয়ের কারণ হতে পারেনিনি টেক্টর-ডকরেলের কাছে। তাইজুল, শরিফুলরা তো রীতিমতো অসহায় ছিলেন তাদের সামনে। অবশেষে ৪২তম ওভারে এসে এই জুটি ভাঙেন এবাদত, ফেরান সেঞ্চুরিয়ান টেক্টরকে। তবে এর আগে ১১২ বলে ১৪০ রানের বিধ্বংসী এক ইনিংস খেলেন তিনি।

টেক্টর ৭ চার আর ১০ ছক্কা হাঁকিয়ে আউট হলে ৭১ বলে ১১৫ রানের জুটি ভাঙে ডকরেলের সাথে। টেক্টরের অভাব অবশ্য বোধ করতে দেননি মার্ক অ্যাডায়ার। ডকরেলের সাথে ১৯ বলে ৩৭ রান যোগ করেন তিনি। ফলে তার দল নির্ধারিত ৪৫ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ৩১৯ রানের সংগ্রহ পায়। মার্ক ৮ বলে ২০ ও ডকরেল ৪৭ বলে ৭৪ রানে অপরাজিত ছিলেন।

হাসান মাহমুদ ৯ ওভারে ৪৮ রানে ২ উইকেট ও শরিফুল সমান ৯ ওভারে ৮৩ রানে নেন ২ উইকেট। ৭ ওভারে ৫৯ রান দিয়ে একটা উইকেট নেন তাইজুল। ৫৭ রান দিয়ে উইকেটবিহীন থাকেন সাকিব।



বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top