বিজিবির কারণে রক্ষা পেলো ব্যাংকের দুই কোটি টাকা-ম্যানেজার

রাজটাইমস ডেস্ক: | প্রকাশিত: ৪ এপ্রিল ২০২৪ ০৫:০১; আপডেট: ২০ মে ২০২৪ ২৩:৩৩

ছবি: সংগৃহীত

বান্দরবানের থানচিতে ব্যাংকে ডাকাতির খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। এর ফলে রক্ষা পায় সোনালী ব্যাংকের ভল্টের প্রায় দুই কোটি টাকা। এছাড়া বিজিবির জন্য ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার ফয়সাল হুদাকেও অপহরণ করতে পারেনি সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা।

বুধবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে এই ঘটনার পর বিজিবির কড়া পাহারায় ভল্টের টাকাসহ সেটি বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের প্রধান শাখায় পৌঁছে দেওয়া হয়। তবে সন্ত্রাসীরা থানচি কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকের ক্যাশ থেকে কয়েক লাখ টাকা লুট করেছে।

বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (মিডিয়া) মো. শরীফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, এদিন দুপুর ১টার দিকে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা থানচি উপজেলা শহরে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। পরে স্থানীয় কৃষি ব্যাংক ও সোনালী ব্যাংকে প্রবেশ করে। ব্যাংকের সবাইকে জিম্মি করে ক্যাশে থাকা টাকা লুট করে। তবে কৃষি ব্যাংকের কোনো ভল্ট না থাকায় তারা সোনালী ব্যাংকে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলে। এসময় ব্যাংকের ম্যানেজার ফয়সাল হুদাকে জিম্মি করে ভল্ট ভাঙার চেষ্টা চালানো হয়।

তবে তাৎক্ষণিক বিজিবি সদস্যরা ঘটনার বিষয় জানতে পেরে ভারী অস্ত্রশস্ত্রে তারা ঘটনাস্থলের দিকে রওনা হন। বিজিবি কাছাকাছি পৌঁছালে বিষয়টি টের পেয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ভল্ট ও শাখা ম্যানেজারকে রেখে পালিয়ে যায়। পরে বিজিবি থানচি শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।

এ বিষয়ে বলিপাড়া ব্যাটালিয়নের (৩৮ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল তৈমুর হাসান খান বলেন, ঘটনার খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক আমাদের সদস্যদের ঘটনাস্থলে যেতে নির্দেশ দেই। তারা ভারী অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সেখান পৌঁছান। এর আগেই আমাদের উপস্থিতির খবর পেয়ে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ও ম্যানেজারকে রেখে পালিয়ে যায়।

এবার থানচির সোনালী ও কৃষি ব্যাংক লুট
সোনালী ব্যাংকের শাখা ম্যানেজার ফয়সাল হুদা বলেন, সন্ত্রাসীরা ভল্টের চাবি না পেয়ে সেটি ভাঙার চেষ্টা করে। এসময় তারা আমাকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রাখে। তবে বিজিবি আসছে এমন খবর পেয়ে তারা পালিয়ে যায়।

জানা গেছে, কৃষি ব্যাংক থেকে দুই লাখ ৪২ হাজার টাকা এবং সোনালী ব্যাংক থেকে আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা ডাকাতরা নিয়ে গেছে।

লে. কর্নেল তৈমুর হাসান খান আরও বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগে পুরো শহর নিয়ন্ত্রণে নিই। এরপর ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশে ব্যাংকের ভল্ট বান্দরবান শহরে নিরাপত্তা দিয়ে পৌঁছে দেই।

শহরের নিরাপত্তা ও অভিযুক্ত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারে বিজিবির কী ভূমিকা থাকবে- জানতে চাইলে তৈমুর হাসান খান বলেন, আমরা নিরাপত্তা জোরদার করেছি, টহল অব্যাহত থাকবে। আর অভিযুক্তদের শনাক্তে বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আমরাও কাজ করছি।

এর আগে মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রুমায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীগোষ্ঠী কেএনএফ সোনালী ব্যাংকে হামলা চালিয়ে টাকা ও ১৪টি অস্ত্র লুট করে বলে জানা গেছে।




বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top