গ্রীষ্মকালীন মাশরুম চাষে স্বপ্ন বুনছেন তরিকুলগ্রীষ্মকালীন মাশরুম চাষে স্বপ্ন বুনছেন তরিকুল

রাজটাইমস ডেস্ক | প্রকাশিত: ৪ আগস্ট ২০২২ ০৬:০১; আপডেট: ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ২৩:৩০

ছবি : সংগৃহীত

নাটোরের লালপুরে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে মাশরুমের চাষ শুরু হয়েছে। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে চাকুরির পেছনে না ছুটে গ্রীষ্মকালীন মাশরুম চাষে স্বপ্ন বুনছেন উপজেলার গোপালপুর পৌর এলাকার কালুপাড়া গ্রামের তরিকুল ইসলাম।

প্রতিদিনই বাড়ছে তার প্রেজেক্টে উৎপাদিত মাশরুমের চাহিদা। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বৃহত্তর পরিসরে মাশরুমের চাষের পরিকল্পনা আছে তার।

রাজশাহী কলেজ থেকে উদ্ভিদ বিজ্ঞানে গ্র্যাজুয়েশন করে ঢাকাস্থ মাশরুম উন্নয়ন ইন্সটিটিউট থেকে প্রশিক্ষণ শেষে স্বল্প পুঁজি নিয়ে ‘ফ্রেন্ডস মাসরুম সেন্টার’ নামে মাশরুম চাষের পরিক্ষামূলক প্রজেক্ট হাতে নেন। মাস চারেক আগে পরিত্যাক্ত ঘরে ছোট পরিসরে ৭৪ টি স্পন প্যাকেট নিয়ে মাশরুম চাষ শুরু করেন। ২৫ থেকে ৩০ দিনের মধ্যে মাশরুম পান তিনি। বর্তমানে তরিকুলের খামারে এক হাজারের অধিক মাশরুমের স্পন প্যাকেট রয়েছে। যার বীজ তিনি নিজেই তৈরি করেছেন।

এবিষয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, আমি উদ্ভিদ বিজ্ঞানের শিক্ষার্থী হওয়ায় প্রথম থেকে মাশরুমের ওপর আগ্রহ বেশি ছিল। গ্র্যাজুয়েশন শেষ করে চাকুরির পেছনে না ছুটে বৃহত্তর পরিসরে মাশরুম প্রজেক্ট করার সিদ্ধান্ত নেয়। মাত্র ১৫শ টাকা দিয়ে আমার পরিক্ষামূলক মাশরুম প্রেজেক্ট শুরু করেছি, এ থেকে প্রায় ৩০হাজার টাকা মাশরুম বিক্রি হবে। ইতিমধ্যে মাশরুম ফলন দিচ্ছে, আমার মাশরুমের চাহিদাও বাড়ছে।

তিনি আরো বলেন, মাশরুম উৎপাদনের পাশাপাশি বিভিন্ন প্রজাতির মাশরুম বীজ (স্পন) উৎপাদন করে করছি। প্রেজেক্ট আস্তে আস্তে স্পন বৃদ্ধি করছি। আমার মাশরুম চাষ দেখে এলাকার অনেক বেকার যুবক মাশরুম চাষে আগ্রহী হচ্ছে। সরকারি ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা বা ঋণ সহায়তা পেলে মাশরুম চাষ করে তরুণ বেকার যুবকদের বেকারত্ব দূর করা সম্ভব।

এবিষয়ে লালপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রশারণ কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান বলেন, ওষুধি গুণ সম্পন্ন মাশরুম অত্যন্ত পুষ্টিকর ও সুস্বাদু। এটি চাষে কম পুঁজি লাগে তবে বেশ লাভজনক। এ অঞ্চলের আবহাওয়া ও জলবায়ু মাশরুম চাষের উপযোগী এবং বসত ঘরের পাশে অব্যবহৃত জায়গা ও ঘরের বারান্দা ব্যবহার করেও মাশরুম উৎপাদন করা যায়। এটা চাষে আমাদের সার্বিক সহযোগিতা থাকবে।



বিষয়:


বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাস
এই বিভাগের জনপ্রিয় খবর
Top