সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিতে চাই: ইসি আলমগীর
রাজ টাইমস ডেস্ক : | প্রকাশিত: ২ মার্চ ২০২৩ ২১:৪৯; আপডেট: ১৩ মে ২০২৫ ০০:৩১
-2023-03-02-10-49-01.jpg)
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন স্বাধীন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সব দল ও ভোটারদের প্রতিশ্রুতি দিতে চান নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা (ইসি) দায়িত্ব নেওয়ার পর এ পর্যন্ত যতগুলো নির্বাচন করেছি, কেউ বলতে পারবে না কোনো পক্ষপাতিত্ব দেখিয়েছি।
বুধবার (১ মার্চ) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন তিনি।
নির্বাচন কমিশনকে সব রাজনৈতিক দলের আস্থায় নেওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেন মো. আলমগীর। কথা বলেন নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি কম হওয়ার বিষয় নিয়েও।
ইসি আলমগীর বলেন, ইতোমধ্যে যেসব নির্বাচন হয়েছে সেগুলোর নানা রকম পরিস্থিতি ছিল। একটি বড় রাজনৈতিক দল কোনো নির্বাচনেই অংশগ্রহণ করছে না। স্বাভাবিকভাবেই তাদের যারা সমর্থক তারা তো ভোট দিতে আসেন না। এজন্য ভোট কম পড়েছে।
সামনের জাতীয় নির্বাচনে ভোটার বাড়বে এমন আশার কথা জানিয়ে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার কারণে করোনার মধ্যে আমাদের কিছু নির্বাচন করতে হয়েছে। স্বাভাবিক কারণে তখন অনেকে ভয়ে ভোট দিতে আসেননি। এছাড়া উপনির্বাচনগুলোর মেয়াদ থাকে অল্প এবং এতে সরকারের কোনো পরিবর্তন হয় না। তাই ভোটদানে আগ্রহ কম থাকে। সামনের যে জাতীয় নির্বাচন হবে তাতে সরকার পরিবর্তন হতে পারে। এই নির্বাচনে জনগণ যে দলকে ভোট দেবে, সেই দল সরকার গঠন করবে। ফলে ভোটার উপস্থিতি বাড়বে।’
ইসি আলমগীর বলেন, ‘প্রতিটি নির্বাচনই আমরা সুষ্ঠুভাবে করার চেষ্টা করেছি। আশা করি, সংসদ নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমাদের পক্ষ থেকে যত রকম ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমরা তা নেব। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হবে বলে আমরা মনে করি।’
যেসব দল নির্বাচনে আসছে না তাদের নির্বাচনে আনতে শেষ পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনের কোনো ভূমিকা থাকবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘ভূমিকা এখনো আছে, শেষ পর্যন্ত থাকবে। বুঝতে হবে আমাদের ভূমিকাটা কী। আমরা আশা করি সব দল নির্বাচনে আসবে। কারণ আমাদের কাজ হলো নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করা। আমরা যদি নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন করি, তাহলে সব রাজনৈতিক দল নির্বাচনে আসবে। যারা আসছেন না তারা বলছেন যে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে, এটা তারা মনে করেন না। কিন্তু এই মনে করার পেছনে অন্তত আমাদের কোনো ভূমিকা নেই। আমরা সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠু নির্বাচন করব। সেই প্রতিশ্রুতি ভোটারদের এবং রাজনৈতিক দলগুলোকে দিতে চাই।’
২ মার্চ ভোটার দিবসের বিষয়ে ইসি আলমগীর বলেন, ‘ভোটারদের রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে, গণতন্ত্র চর্চার ক্ষেত্রে, ভোটদানে একটা বড় ভূমিকা রয়েছে। এই জিনিসটা একটা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে জানানো হয় ভোটার দিবসের মাধ্যমে। সে অনুযায়ী ২০১৮ সাল থেকে আমরা এটি করে আসছি। আগে ১ মার্চ ভোটার দিবস পালন করা হতো। এখন ২ মার্চ পালন করা হয়।
ভোটার দিবসের কথা তুলে ধরে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, এদিন আগের ভোটার যারা মারা গেছেন তাদের নাম কাটা, নতুন ভোটারদের হিসাব করে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। আগামী সংসদ নির্বাচনে কত ভোটার ভোট দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন, তা এই দিন জানা যাবে।
আপনার মূল্যবান মতামত দিন: